পুবের কলম প্রতিবেদকঃ সাতসকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল নোদাখালি। মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। একটি অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। ক্ষোভে ফেটে পড়েছে স্থানীয় মানুষ।
বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ-২ ব্লকের নোদাখালি থানার মোহনপুর এলাকায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে যায় কারখানার চাল। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজনের। খবর পেয়ে নোদাখালি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এছাড়াও কয়েকজন গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের নাম, অসীম মণ্ডল, অতিথি হালদার ও কাকলি মিদ্যে। প্রত্যেকেই মোহনপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে মোহনপুরের বাসিন্দা অসীম মণ্ডল পাড়ার মধ্যেই বাজি কারখানা চালু করেছিলেন। এলাকার মানুষের তুমুল আপত্তির পরও পাড়ার মধ্যে সেই কারখানা চালিয়ে যাচ্ছিলেন অসীম। কারখানায় প্রচুর বারুদ মজুত করে রাখা ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবারই সকালে আচমকা ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে সেখানে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কারখানার চাল উড়ে যায়। আশেপাশের কয়েকটি বাড়ির জানলা ও কাচ ভেঙে পড়ে। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় কারখানার মালিক অসীম মণ্ডল-সহ তিনজনের।
খবর পেয়েই দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। পরে নোদাখালি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীও ঘটনাস্থলে যায়। কারখানায় মজুত করা বারুদে আগুন লেগে যাওয়াতেই বিস্ফোরণ বড়সড় আকার ধারণ করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
পাশাপাশি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ডিএসপি (বিষ্ণুপুর)। পরে সাতগাছিয়ার বিধায়ক মোহন নস্করও যান সেখানে।
উল্লেখ্য, এ বছর দীপাবলির সময় বাজি তৈরি ও ফাটানো নিষিদ্ধ করা হয়। তার পরও কেন সেখানে বাজি তৈরি হচ্ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার এসপি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন– ‘খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জেলা পুলিশের অনেক আধিকারিক ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তদন্ত চলছে।’