পুবের কলম ডেস্ক : এই মাসের শুরুতে প্রতিরক্ষা স্টাফের প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেছিলেন যে, ভারতের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ হয়ে উঠছে চিন এবং দুই পক্ষেই পারস্পরিক সন্দেহ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। তাঁর এই মন্তব্যের পর চিনের সেনাকর্তা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, তিনি এই কথার তীব্র বিরোধিতা ও প্রতিবাদ করছেন। পিপল’স লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সিনিয়র কর্নেল ইয়ু কিয়ান জেনারেল রাওয়াতের এই বক্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিপজ্জনক’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। কিয়ান চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র। তিনি আরও বলেন, তথাকথিত ‘চিনা সামরিক বিপদ’ নিয়ে অহেতুক জল্পনা করছে ভারতের কর্তাব্যক্তিরা। দুই পক্ষের নেতারা যে কৌশলী সিদ্ধান্ত ও অবস্থান নিয়েছেন তাকে লঙ্ঘন করে এই ধরনের বার্তা। এর ফলে ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন কিয়ান। কিন্তু তিনি একবারও বলেননি, ভারতের এই মন্তব্য নিয়ে কোথায় ও কীভাবে তাঁরা প্রতিবাদ দায়ের করেছেন। চিনের মুখপাত্র যখন ওই বিবৃতিকে ‘লঙ্ঘন’ ও ‘দ্বন্দ্ব সৃষ্টিকারী’ বলছেন তখন ভারতের কর্তারা গত কয়েক মাস ধরে বলে আসছেন যে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের সামরিক ক্রিয়াকলাপ কেবলমাত্র দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়াকেই লঙ্ঘন করছে না, সেই সঙ্গে আগে হওয়া চুক্তিগুলিকেও দুর্বল করে দিচ্ছে।
গত সপ্তাহে দুই পক্ষের কূটনীতিকরা সামরিক কমান্ডারদের নিয়ে বৈঠক পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয়েছেন। অক্টোবরে হওয়া ১৩তম বৈঠক শেষ হয়েছে পরস্পরের ঘাড়ে দোষচাপানো দিয়ে। তবে ইন্দো-চিন সীমান্তে একে অপরকে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের সুর শোনা গেছে উভয় দেশের মধ্যে। কোনও রকম অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে না ঘটে ও পরিস্থতি শান্ত থাকে সেদিকেই নজর দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। যাইহোক, জেনারেল রাওয়াত এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, কিছু এলাকায় সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং অন্যত্রও তা করা হচ্ছিল, কিন্তু দুই দেশ এখনও পরস্পরকে সন্দেহের চোখে দেখে এবং একে অপরের প্রতি আস্থা নেই। ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত অঞ্চলে চিনা আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। আর তাই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন জেনারেল রাওয়াত।