পুবের কলম প্রতিবেদকঃ শুক্রবার ছিল সংবিধান দিবস। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতীয় গণপরিষদে নতুন সংবিধান গৃহীত হয়। সে উপলক্ষে দিনটিকে ‘সংবিধান দিবস’ বা জাতীয় আইন দিবস হিসাবে পালন করা হয়।
এদিন অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিল– পশ্চিমবঙ্গ শাখার তরফেও একটি বিশেষ আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে সংগঠনের বিভিন্ন সদস্য ছাড়াও বিশিষ্টরা সংবিধান রক্ষা ও ভারতীয় সংবিধানের গুরুত্ব নিয়ে আলোকপাত করেন।
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিল-এর সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি ক্বারী ফজলুর রহমান, নাখোদা মসজিদের ইমাম মাওলানা শফিক কাসেমী– পুবের কলম-এর সম্পাদক তথা রাজ্যসভার সাবেক সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান, সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সাউদ আলম, সহকারী সম্পাদক গোলাম মুহাম্মদ– ইরফান শের প্রমুখ।
এদিন আহমদ হাসান ইমরান বলেন, আমাদের দেশের সংবিধান পৃথিবীর সব থেকে বড় সংবিধান। যখন এর রচনা করা হয়, তখন দলিতদের মতো মুসলিমদেরও সংরক্ষণ সিস্টেমের মধ্যে আনার কথা আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু মুসলিম সদস্যরাই এর বিরোধিতা করেন। এর পরেই তিনি বলেন, সংবিধানকে রক্ষা করতেই হবে– তার জন্য আরও বেশি আলোচনা প্রয়োজন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে এ নিয়ে কথা বলার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোকপাত করেন ইমরান।
তিনি বলেন, মানুষের অধিকার– কর্তব্য ও ধর্ম-উপাসনার অধিকারের সবদিক আলোচনা করা হয়েছে। তাই– দেশকে বাঁচাতে– সংখ্যালঘুদের বাঁচাতে এবং গণতন্ত্রকে বাঁচাতে সংবিধানকে রক্ষা করতেই হবে।
একই কথা বলেন ক্বারী ফজলুর রহমান। তিনি আরও বলেন, বেশি বেশি করে আলোচনা করা ও তরুণ প্রজন্মের কাছে সংবিধানের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে। মাওলানা শফিক কাসেমী বলেন– ভারতের সমস্ত মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছে সংবিধান। এর শিক্ষাকে যেমন নতুনদের কাছে পৌঁছাতে হবে তেমনি– আমাদের ছেলেমেয়েদের জুডিশিয়ারিতে আসতে হবে। একই কথা বলেন সমাজকর্মী ইরফান শের।