হিজাব কি চাকরির ক্ষেত্রে অন্তরায় হতে পারে? ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশে শিখদেড় পাগড়িতে আপত্তি থাকে না। অথচ মহিলা পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় বাঁধা হয়ে দাঁড়াল সেই হিজাব বা মাথায় ওড়না। এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই নিয়ে কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির মতামত শুনলেন সেখ কুতুবউদ্দিন।
সুজাত ভদ্র, (মানবাধিকার কর্মী)
হিজাব বা ওড়না পরে থাকলে পরীক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না। এতে ক্ষমতার অপব্যাবহার করা হচ্ছে। যাঁদের কারণে ওই পরীক্ষার্থীরা বসতে পারেনি– তাঁদের সাজা হওয়া উচিত। আর ওই পরীক্ষার্থীদের পুনরায় পরীক্ষায় বন্দোবস্ত করা প্রয়োজন। এই ঘটনা মুসলিম-বিদ্বেষী। গণতন্ত্রের বিরোধী।
সুবোধ সরকার– (বিশিষ্ট কবি)
ওড়না, বা হিজাব পরলে বুদ্ধি হ্রাস পায় না। শারীরিক সক্ষমতাও বজায় থাকে। অবশ্য বিষয়টি বিচারাধীন।
শামিম ফিরদৌস– (আইনজীবী)
পুলিশের মহিলা কনস্টেবল চাকরির পরীক্ষায় সরকারি চাকরিতে কয়েকজন মহিলাকে মাথায় কাপড় বা ওড়না দেওয়ার কারণে বসতে দেওয়া হয়নি। এটা খুব অন্যায় হয়েছে। এভাবে এক শ্রেণির মানুষকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা যায় না। মাথায় ওড়না পরলে– পাগড়ি দিলে বুদ্ধিও কমে না। শারীরিক সক্ষমতাও কমে না। ধর্মীয় মতে– মুসলিমরা মাথায় কাপড় দেবেন। ধর্মাচারণ করবেন। তাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
নুরুল হক– (অবসরপ্রাপ্ত আইএএস)
ওড়না পরার রেওয়াজ বহু আগে থেকেই রয়েছে। ওড়না নিয়ে সরকারের নীতি ঠিক করা উচিত। পুলিশ রেগুলেটর অফ বেঙ্গল-এ ড্রেস কোর্ড কতটা হওয়া উচিত– তা সব ধর্মের বিশিষ্টদের সহযোগিতার প্রয়োজন। শিখরা পাগড়ি বাঁধেন। সেখানে বাধা দেওয়া হয় না। মুসলিমদের ড্রেসে বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন?