বেঙ্গালুরু: বড়দিনে যদি খাবার বা পোশাক বিতরণ করা হয় আর সেই অনুষ্ঠানে যদি কোনও হিন্দু থাকে তাহলে এই ঘটনাকে কি বলা যাবে যে, খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করতে হিন্দুকে টোপ দেওয়া হল? অথবা যদি কোনও শিশু জিশুর ছবিওয়ালা ক্যালেন্ডার বাড়ি নিয়ে যায় বিদ্যালয় থেকে তাহলে তাকেও কি ধর্মান্তরণের আওতায় ফেলা হবে? বেঙ্গালুরুর আর্চবিশপ পিটার মাচাদোর মনে ঘুরছে এমনই অনেক প্রশ্ন। কেন এই প্রশ্ন এলো তাঁর মাথায়? কারণ বাসবরাজ বোম্মাই প্রশাসন ধর্মান্তরণ বিরোধী বিল পাশ করতে চায়। এই ধরনের আইনে ফলে শুধু নজরদারিই বাড়বে। এই পরিকল্পনা বাতিলের জন্য মাচাদো চিঠি পাঠিয়েছেন বোম্মাইয়ের কাছে। এই রাজ্যের বিভিন্ন তালুক ও জেলার গির্জার প্রতিনিধিরা শুক্রবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে। তারা মিছিলও করবে বলে জানিয়েছে। কয়েকজন বিধায়ক অভিযোগ তুলেছেন যে, গ্রামীণ এলাকায় খ্রিস্টান মিশনারিরা ‘টোপ’ দিয়ে মানুষকে প্রভাবিত করে ধর্মান্তরিত করছে।
বিজেপি বিধায়ক গুলিহাটি শেখর বিধানসভায় দুঃখপ্রকাশ করে জানিয়েছেন যে, খ্রিস্টান প্রতিষ্ঠানের প্রভাবের জেরে তাঁর মা খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন। এদিকে, রাজ্যের সংখ্যালঘু ডিরেক্টরেট গির্জার সমীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়ায় সংশয় ও সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। মাচাদো বলেছেন, এই ধরনের আইন একবার পাশ হয়ে গেলে তা আর সরকারের হাতে থাকবে না, দুষ্কৃতিরা একে অপব্যবহার করবে। তিনি আরও জানান,”কর্নাটক অন্যান্য রাজ্যগুলির মতো নয়। এখানে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসেন এবং বিনিয়োগকারীরা এখানে বাণিজ্য করতে উৎসাহী। এই রকম আইন পাশ হলে রাজ্যের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক ছাপ পড়বে।” গির্জার সমীক্ষার বিরোধিতা করে কর্নাটক হাইকোর্ট জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে পিপলস ইউনিয়ন অফ সিভিল লিবার্টিজ বা পিইউসিএল। কর্নাটকের গৃহমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র জানিয়েছেন, অন্যান্য রাজ্যে যেখানে এই আইন রয়েছে সেগুলি পড়া শুরু করেছেন তাঁরা।