পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মিলনা রাতে বিমান অবতরণের অনুমতি, তাই আগামীকাল সোমবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির খবর পাওয়ার পরেই আজই ত্রিপুরা যাওয়ার সিন্ধান্ত নিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
খুনের চেষ্টার অভিযোগে আজ রবিবার আগরতলায় গ্রেফতার করা হল যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে।তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৭, ১৫৩ এবং ১২০ বি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে আজ সায়নীকে আদালতে পেশ করা হচ্ছেনা। পুরভোটের চারদিন আগে উত্তপ্ত ত্রিপুরা।
এইদিন সকাল থেকেই আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় ছিলেন সায়নী। চলছিল জিজ্ঞাসাবাদ। শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
সায়নীর গ্রেফতার নিয়ে টুইটে কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ‘অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করল সায়নী ঘোষকে। ধিক্কার ত্রিপুরা সরকার। থানায় হামলাকারীরা গ্রেফতার হল না। গ্রেফতার হল সায়নী”।
জানা যাচ্ছে সায়নীর পাশে থাকতে এই মুহুর্তে থানাতেই আছেন প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ, সাংসদ সুস্মিতা দেব,কুণাল ঘোষ।
বিজেপির বিরুদ্ধে থানায় ঢুকে হামলা চালনোর অভিযোগ উঠেছে। সুস্মিতা দেবের দাবি থানার লাঠি হাতে, হেলমেট পরে জমায়েত করে বিজেপি।
হিট আন্ড রানের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সায়নী ঘোষ কে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই ছড়ায় উত্তেজনা।
কি কারণে গ্রেফতার করা হল সায়নীকে।জোড়া ফুল শিবিরের দাবি প্রচার সেরে সায়নী শনিবার হোটেলে ফিরছিলেন। তখন গাড়ির চালকের পাশেই তিনি বসেছিলেন। তাঁর গাড়িতে ছিলেন অর্পিতা ঘোষ এবং সুদীপ রাহা।
সমর্থকরা গাড়ি ঘিরে ধরে দিতে থাকেন নানা ধরনের স্লোগান। পুলিশের দাবি এই রকম এক সময়ে সায়নীর গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন এক ব্যক্তি।
সেই ঘটনার জেরে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার সকালে সায়নীর হোটেলে আসে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানার পুলিশ। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করার পর রবিবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের এই যুব নেত্রীকে। পুরভোটের আগে সায়নী ঘোষের এই গ্রেফতারী নিসন্দেহে ত্রিপুরায় পুরভোটের আগে বাড়তি মাত্রা যোগাল বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।