পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ফের সগৌরবে শুরু হল কলকাতা ইসলামিয়া হাসপাতাল। শুক্রবার এই হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুবের কলম-এর সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান, ক্কারী ফজলুর রহমান, মন্ত্রী গোলাম রব্বানি, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এস এম হায়দার। পাঁচ বছর পর ফের খুলল ইসলামিয়া হাসপাতাল।
এদিন হাসপাতালের ইমারজেন্সি, মেডিসিন বিভাগ এবং অপারেশন থিয়েটারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পরিবহণ ও আবাসন মন্ত্রী, কলকাতা পুরসভার মু্খ্যপ্রশাসক, ইসলামিয়া হাসপাতালের সভাপতি ফিরহাদ হাকিম বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে এই হাসপাতালের নয়া ভবনকে ‘করোনা হাসপাতাল করা হয়েছিল। পুরোপুরি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে রোগীদের পরিষেবা দেওয়া শুরু হচ্ছে। এই হাসপাতালে বেড থাকবে ৩০০টি। আপাতত ১৮০টি শয্যা নিয়ে পরিষেবা শুরু হচ্ছে। এর মধ্যে ১২টি বেড ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য। ৩২টি বেড আইসিইউ, ৮টি ওটি। ইতিমধ্যে তিনটি ওটি বেড প্রস্তুত। আরও ৫টি বেড-এর কাজ চলছে। ১০ দিনের মধ্যে ইমার্জেন্সি পরিষেবা ও মেডিসিন বিভাগ চালু হবে। আরও কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হবে ওটি পরিষেবা। যাঁদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেই, তাদের জন্য আলাদা কাউন্টার থাকছে। চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি ওই রোগীদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও বানিয়ে দেওয়া হবে।
হাসপাতালের কার্যকারী সভাপতি এসএমএ হায়দার বলেন, কলকাতার পাশাপাশি গ্রামবাংলার মানুষরাও সুবিধা পাবেন। এই হাসপাতালের চিকিৎসার জন্য ইমাম ও মোয়াজ্জেনরাও বিশেষ সুবিধা পাবেন। এই হাসপাতালে এখন ওপিডি চালু করা হচ্ছে। এখন থাকবে মেডিসিন, ডায়াবেটিস, সার্জারি, প্যাথোলজি এবং এক্স-রে। নবনির্মিত ইসলামিয়া হাসপাতালের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হলে তা কলকাতার অন্যতম আধুনিক হাসপাতালে পরিণত হবে। নির্ধারিত সময়ের আগেই আউটডোর পরিষেবা চালু করা হয়েছে।
ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ইসলামিয়া হাসপাতালের পাকসার্কাসের ভবনটি বহুতল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।