পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: খোলা জায়গায় নামাযে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে গুরগাঁওয়ের প্রশাসন। স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তিতেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত। তবে সম্প্রীতির এই ভূমিতে মুসলমানদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষেরা। দিল্লির সীমান্তবর্তী হরিয়ানা জেলার পাঁচটি গুরুদোয়ারা তত্ত্বাবধানকারী কমিটি তাদের প্রাঙ্গনে নামাযের জন্য আহ্বান করেছে মুসলিমদের। সম্প্রীতির এই নিদর্শনে মুগ্ধ জনতা। গুরগাঁওয়ের সবজি মান্ডির গুরুদোয়ারা শ্রীগুরু সিং সভার সভাপতি শেরদিল সিং সিধু বলেছেন, গুরুদোয়ারা হল গুরুর ঘর। সকল সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে এসে প্রার্থনা করতে পারেন। মুসলিম সম্প্রদায় যদি নির্দিষ্ট স্থানে প্রার্থনা করতে সমস্যার সম্মুখীন হয়, তবে তারা গুরুদোয়ারায় প্রার্থনা করতে পারে। গুরুদোয়ারার দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত। কমিটির প্রশাসনের অধীনে গুরগাঁওয়ের পাঁচটি গুরুদোয়ারা- সদর বাজার, সেক্টর ৩৯, সেক্টর ৪৬, মডেল টাউন এবং জ্যাকবপুরায় অবস্থিত। তিনি আরও জানান, আমরা শুক্রবার আমাদের প্রথম গুরু (গুরু নানক দেব) এর জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছি। এই গুরুদোয়ারা গুলির ২ হাজার জনেরও বেশি লোকধারণ ক্ষমতা রয়েছে। তবে আমরা প্রস্তাব রেখেছি যে লোকেরা ৩০-৪০ জনের ছোট ব্যাচে প্রার্থনা করবে এবং কোভিডের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবে। প্রয়োজনে সরকারি অনুমতি নেওয়া হবে।
প্রস্তাবটিকে অত্যন্ত সহদয়তায় লক্ষণ হিসাবে বর্ণনা করে গুরগাঁওয়ের জমিয়তে উলামার সভাপতি মুফতি মুহাম্মদ সেলিম বলেছেন, আমরা বুধবার গুরুদোয়ারার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছি এবং এই শুক্রবার সেক্টর ৩৯ এবং সদর বাজারে নামায পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই ঘটনা দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধি করবে। এর আগে গুরগাঁওয়ের সেক্টর ১২ -এর একজন ৪০ বছর বয়সি দোকানদার অক্ষয় যাদব তার খালি জায়গায় নামায আদায়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ১৫ জন লোক গত শুক্রবার তার দোকানে নামায পড়েছিল। একটি বিবৃতিতে গুরগাঁও মুসলিম কাউন্সিলের সহপ্রতিষ্ঠাতা আলতাফ আহমেদ বলেছেন যে, এটি ভ্রাতৃত্বের একটি সত্যিকারের উদাহরণ যেখানে একাধিক বিশ্বাসের লোকেরা বিভাজনকারী শক্তিকে পরাস্ত করতে এগিয়ে এসেছে, যারা গত দুই মাস ধরে গুরগাঁওয়ে ঘৃণা এবং সাম্প্রদায়িক বিভেদ ছড়াচ্ছে।