পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের ২২ তারিখ দিল্লি্ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সফরে মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এখনও তাঁর সম্পূর্ণ সফরসূচী জানা যায়নি।
তবে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই জল্পনা তুঙ্গে। রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের মতে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সারা দেশের প্রধান বিরোধী মুখ হিসেবে উঠে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে কার্যত ধ্বসিয়ে দিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে জোড়াফুল শিবির।
উল্লেখ্য যে মুহুর্ত থেকে রাজ্যে তৃণমূলের জয়ের ট্রেন্ড সামনে আসতে থাকে তখন থেকে টুইটারে হ্যাসটাগেও ট্রেন্ড ছিল “ দিদিকে প্রধানমন্ত্রী চাই’’।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই সফরে দুটি উদ্দেশ্য কে সামনে রেখেই দিল্লি যাত্রা করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমত রাজ্যের প্রাপ্য পাওনার দাবিসনদের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা।
দ্বিতীয়ত বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করে ২০২৪ সালের বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে নাড়া বাঁধার কাজটি এগিয়ে রাখা।
উল্লেখ্য কংগ্রেসের অন্তঃর্বতী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির সঙ্গেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। দিল্লি গেলেই সনিয়ার সঙ্গে দেখা করে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সুপ্রিমোর এই দিল্লি সফরে একাধিক বিষয় উঠে আসতে পারে। একাধিক বিরোধী দলের সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, তৃণমূল সূত্রের খবর, দিল্লিতে বেশ কয়েকজন যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তৃণমূলের শক্তি বাড়াতে গোয়া, উত্তর প্রদেশ সহ একাধিক রাজ্য এখন পাখির চোখ।
উল্লেখ্য আঞ্চলিক দলের তকমা ঝেড়ে ফেলে তৃণমূল এখন সর্বভারতীয় দল হিসেবে নিজেদের অস্তিত্ব তুলে ধরতে চায়। ইতিমধ্যেই গোয়া সফর করে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দিল্লি সফর থেকে তিনি কি বার্তা দেন তারদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।