বিশেষ প্রতিবেদকঃ ঘোষণা না করলেও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জনাব মুহাম্মদ আলি সাহেব তাঁর পদ থেকে ইস্তাফা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের জানিয়েছেন। এ ছাড়া চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকে তিনি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর কার্যালয়েও আসছেন না। যোগাযোগের জন্য ‘পুবের কলম’ থেকে তাঁকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
তবে আলিয়ার ভিসি জনাব মুহাম্মদ আলির পদত্যাগপত্র আদৌ গৃহীত হয়েছে কি না– তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু কেন মু্খ্যমন্ত্রীকে তাঁর চিঠি এবং এই পদত্যাগ তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন উঠেছে। জানা গেছে– আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর (এমএএমই) দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁর সংঘাত ও মতপার্থক্য হ্রাস পাওয়ার বদলে বেড়েই চলেছিল। উপাচার্য আগে অভিযোগ করেছিলেন– বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ যথাযথভাবে করার জন্য বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও এমএএমই দফতরের আধিকারিকরা তা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে দিচ্ছেন না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে– এমএএমই দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য হল– উপাচার্য আগের টাকার ঠিকমতো হিসাব পেশ করতে পারছেন না। তাঁরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে একটি ভিজিল্যান্স কমিশনও নিয়োগ করেছেন।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক জানালেন– বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান বিষয়ে ও ভূগোল বিভাগেরû জন্য যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনেছিল তার টাকা বহুদিন ধরে বকেয়া রয়েছে। ফলে বিক্রেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। সব মিলিয়ে বাংলার মুসলিম সম্প্রদায়ের ইতিহাস– অস্তিত্ব ও উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনিশ্চয়তা ও ডামাডোল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন– এই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় যেন বিশ্বমানের হয়ে উঠে। আর হিন্দু-মুসলিম সকল ছাত্রছাত্রী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার মাধ্যমে বাংলার সম্প্রীতিকে যেন সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়। কিন্তু বর্তমানে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সব পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও অদ্ভূত কারণে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কাজকর্ম নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে– যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর।