পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : এখনও ক্ষুধায় ভুগছে দেশের মানুষ।এমনকি না খেয়ে মারা যাচ্ছেন অনেকে। অবিলম্বে এই অবস্থার বদল ঘটাতে ব্যবস্থা নিক কেন্দ্র। কথা বলুক রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে। যথাযথ প্রকল্প গ্রহণ করুক।মঙ্গলবার শুনানিতে এমনটাই নিদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।দেশে কমিনিটি কিচেন তৈরি করার আবেদন নিয়ে এদিন ছিল মামলার শুনানি। সেই শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে ক্ষুধা দূরীকরণের জন্য প্রকল্প তৈরী করতে নির্দেশ দিয়েছে।
করোনাকালে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। তাদের আলাদা রুজি রুটির বন্দোবস্ত নেই। এমন অবস্থায় একমাত্র ভর্তুকিযুক্ত ক্যান্টিন গরিব মানুষকে ক্ষুধার জ্বালা থেকে বাঁচাতে পারে।সেই আবেদনের ভিত্তিতেই শীর্ষকোর্ট কেন্দ্রকে দ্রুত সদর্থক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে বলে।
এদিন প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ অ্যাটর্নি জেনারেল কে.কে. বেণুগোপালকে বলে, “দেখুন আপনি যদি ক্ষুধা দূরীকরণের ব্যাপারে সত্যি আগ্রহী হন তাহলে তাতে কারও কোনো সমস্যা নেই। কোনও সংবিধান, আইন বা আদালত তাতে না বলবে না। আমার পরামর্শ হল…ইতিমধ্যেই আমরা অনেক দেরি করছি, তাই মামলায় আর কোনো মুলতুবি করব না … আমরা আপনাকে দু’সপ্তাহের চূড়ান্ত সময় দেব।অনুগ্রহ করে মিটিংটি করুন।রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কথা বলে একটি স্কিম তৈরি করুন।”
কেন্দ্রকে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘মানুষ ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে। অপুষ্টি তো আছেই। এটি একটি পৃথক সমস্যা। দুটোকে একসঙ্গে মেশানবেন না।’ বিচারপতি রামানা স্পষ্ট বলেন, শীর্ষ কোর্ট আন্তর্জাতিক অপুষ্টি সূচক নিয়ে মাথা ঘামায় না, তবে এর একমাত্র লক্ষ্য কীভাবে ক্ষুধা সমস্যা রোধ করা। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ আরও বলেছে যে কোনও কল্যাণকামী রাষ্ট্রের প্রথম দায়িত্ব হল মানুষকে অনাহারে মরতে না দেওয়া।
শুনানির শুরুতে, বিচারপতি এ.এস. বোপান্না এবং হিমা কোহলি ক্ষুধা রোধে কেন্দ্রের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন।কেন্দ্রের হলফনামা থেকে দেখা যাচ্ছে যে তারা এখনও এই বিষয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বরং তারা পরামর্শ সংগ্রহের প্রক্রিয়ার মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ রেখেছে। মনে হচ্ছে বিষয়টি বাস্তবায়নের কোনও দায় যেন সরকারের নেই। এই বিষয়ে বিশদ যুক্তি শোনার পরে, শীর্ষ আদালত বলেছে যে, কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পনা করুক। তার জন্য সুপ্রিম কোর্ট তিন সপ্তাহের বেশি সময় দেবে না।
শীর্ষ কোর্টের বেঞ্চ অবশ্য বলেছে, রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি থাকলে তা পরবর্তী শুনানিতে গ্রহণ করা হবে। “আমরা সমস্ত রাজ্যকে একটি প্রকল্প নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি। বলছি এ বিষয়ে ভারত সরকারকে সহযোগিতা করুন।”