পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ অবশিষ্ট ভারতের সঙ্গে রেলপথে যুক্ত হবে সিকিম। এমনটাই ভেবেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হাতেই শুরু হয়েছিল সিকিমের রেল প্রজেক্ট। ২০০৯ সালে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেছিলেন তিনি।কেন্দ্রের বর্তমান শাসক দল ২০২৩ সালের মধ্যে এই রেলপথ সম্পূর্ণ করার লক্ষমাত্রা নিয়েছে।
প্রকল্পের মধ্যে মোট ১৪টি টানেল, ১৭টি সেতু এবং পাঁচটি স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে কালিম্পং জেলার তিস্তায় একটি ভূগর্ভস্থ টানেলও রয়েছে ।
এই রেলপথ সম্প্রসারণে মুখ্য ভূমিকা রয়েছে সেবক- রাংপো ৪৪.৯৮ কিলোমিটার রেললাইনের।
নর্থ-ইস্ট ফন্ট্রিয়ার রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনশুল গুপ্তা সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন এই কঠিন পাহাড়ি রাস্তায় রেলপথ গড়ে তোলা অত্যন্ত বিপদসঙ্কুল কাজ। তাও ভারতীয় রেল আশাবাদী ২০২৩ সালের মধ্যেই সিকিমে পোঁছে যাবে ট্রেন।
যদিও ২০১৫ সালের মধ্যে এই রেলপথ শেষ করার কথা থাকলেও তা হয়নি। সেই কারণে ব্যয়বরাদ্দও বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই।
খরচ বেড়ে এখন পাঁচ হাজার কোটি টাকারও বেশিতে দাঁড়িয়েছে।
এই রেললাইনের ৪১.৫৪ কিলোমিটার পথ পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। রেললাইনের প্রায় ৩.৪৪ কিলোমিটারের অবশিষ্ট অংশ সিকিমের মধ্য দিয়ে যাবে।
এই রেলপথে রয়েছে মোট ১৪টি টানেল যার মধ্যে এই রাজ্যেই আছে ১৩খানা টানেল।
এই রেলপথ শুরু হলে প্রভুত উন্নতি হবে পর্যটনের। সড়ক পথে যাতায়াতের ঝক্কিও কমবে অনেকটাই। রেল কর্মকর্তাদের কথায় এই পশ্চিমবঙ্গ- সিকিম রেলপথে যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাও মুগ্ধ করবে ভ্রমণ পিপাসুদের। মোট ১৪টি টানেল এবং ১৭ টি সেতু আছে এই পথে। সুতরাং যাত্রাপথেই মিলবে এক অন্য ধরণের অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ।