পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ লুইজিনহোকে রাজ্যসভার প্রার্থী করার দিনেই মহুয়া মৈত্রকে দেওয়া হল গোয়া তৃণমূলের দায়িত্ব। ২০২২ এই গোয়া বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে কৃষ্ণনগরের সাংসদের ওপরেই ভরসা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
দলের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক টুইট বার্তায় লিখেছেন গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের উজ্বল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশেই কৃষ্ণনগরের সাংসদকে এই দায়িত্ব দিল দল।
রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের মতে মহুয়ার জন্য এই কাজ কিন্তু যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের।
আঞ্চলিক থেকে সর্বভারতীয় দল হিসেবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মত গোয়াতেও নিজেদের জমি শক্ত করতে চাইছে জোড়াফুল শিবির। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই গোয়া সফর করে এসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যথেষ্ট ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে সেই সফরে। বিজেপির হিন্দুত্ববাদের যে অ্যাজেন্ডা তাও অনেকটাই ফিকে খ্রীস্টান অধ্যুষিত এই রাজ্যে।
গোয়ার মানুষ দেখে এসেছেন কংগ্রেসের সময়কাল, বিজেপির জামানাও তারা দেখছেন। সেই কারণে বিকল্প হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জোড়াফুলকে বেছে নেওয়ার কথাও তারা ভাবনাচিন্তা করছেন।
২০২২ সালে গোয়া বিধানসভার নির্বাচন। তার জন্য অঙ্ক কষা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। লিয়েন্ডার পেজ, অরুণা আসফ আলীর মত একাধিক তারকা যোগ দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে।
আজ শনিবারেই গোয়া নিয়ে ছিল জোড়াফুল শিবিরের বিশেষ বৈঠক। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আপাতত গোয়ার মাটিতে মহুয়া কতটা ঘাষফুল ফোটাতে সক্ষম হন মহুয়া সেটাই দেখার।