পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : “দিওয়ালির রাতে হিন্দু এলাকায় বিরিয়ানির দোকান খোলা কেন? খোদ দিল্লিতে প্রকাশ্য রাস্তায় তা নিয়ে নিয়ে তুলকালাম বাধাল হিন্দুত্ববাদীরা। দোকান বন্ধ না করলে বিরিয়ানির দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে দিল্লির সন্তনগর এলাকার এই হুমি ভিডিওটি। সেই ভিডিওকে হাতিয়ার করে স্বতঃপ্রণোদিত তদন্তে নেমেছে বুরারি পুলিশ।
মিনিট তিনেকের ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, সন্তনগরে একটি বিরিয়ানির দোকানে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে এক ব্যক্তি ।“দিওয়ালির রাতে হিন্দু এলাকায় দোকান খুলে রেখেছ কেন? এটা কি মুসলিম এলাকা নাকি? দোকান খোলা রাখার অনুমতি কে দিয়েছে তোমাদের? ” যে হুমকি দিচ্ছিল ভিডিওতে তার মুখ অবশ্য দেখা যায়নি। স্রেফ গলা শোনা গিয়েছে। সে নিজেই ভিডিওটি রেকর্ড করেছে।
ভিডিওতে ওই ব্যক্তি বলে, “এটা তোমাদের এলাকা নয়। জামা মসজিদ নয়। এখানে হিন্দুরা থাকে। এটা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা।” এমনকী, দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ভয়ও দেখান হয় । এর পরই দেখা যায়, দোকানের কর্মীরা তড়িঘড়ি বাসনপত্র, টেবিল চেয়ার দোকানের ভিতর গুছিয়ে রাখছে। দোকান বন্ধের তোরজোর করছে। তাতেও থামেনি ওই ব্যক্তি।ততক্ষনে আশপাশে লোক জড়ো হতে শুরু করে দেয়। সেই লোকেদের উদ্দেশে ওই ব্যক্তি বলে , “এবার জাগুন আপনারা। এরা এখানে দোকান করছে। লাভ জেহাদের ফাঁদ পাতছে। আমাদের বোনেদের সেই ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে। প্রতিবাদ করুন।”
এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে দিল্লি পুলিশের তরফে ডিসিপি (উত্তর) সাগর সিং কালসি জানিয়েছেন, “পিসিআর ভ্যান বা ফোন করেও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে আমরা ভিডিও সূত্রে ধরে অভিযোগ দায়ের করেছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। যে বা যারা এলাকার শান্তি-সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ওই ব্যক্তির উদ্দেশ যে অশান্তি সৃষ্টি করা তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। অনেকের ধারণা যত ইউপি ভোট কাছে আসবে তত বেশি করে এমন নানা বিক্ষিপ্ত ঘটনা সামনে আসবে। এই ধরনের লোকজন আসলে অশান্তি সৃষ্টি করে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোর চেষ্টা করে।এমনটা অবশ্য প্রথম নয়।