পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : শ্রীনগর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির শারজায় যেতে গেলে পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না ভারত। বুধবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল পাকিস্তান। আর এই ঘোষণার ফলে দুই শহরের মধ্যে বিমান পরিষেবা কিছুটা প্রভাবিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শ্রীনগর থেকে শারজা যেতে হলে যে সময় লাগত, পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিলে তা অনেকটাই কমে যাবে। কিন্তু ঘুরপথে উদয়পুর, আমদাবাদ এবং ওমান হয়ে শারজায় পৌঁছতে নির্ধারিত সময়ের আরও এক ঘণ্টা বেশি লাগবে। ফলে যাত্রা খানিকটা বাড়তি ব্যয়বহুল হবে।
পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তিনি এই ঘটনাকে জানিয়ে দিয়েছিল তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করা যাবে না বলে তখনও জানিয়েছিল। ফলে শ্রীনগর থেকে দুবাই বিমান পরিষেবা প্রভাবিত হয়েছিল।” তিনি আশাপ্রকাশ করেছেন খুব দ্রুতই পাকিস্তান তাদের এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে।
তারা কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছুই বলেনি পাকিস্তান।গত ২৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শ্রীনগরের শেখ উল-আলম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শ্রীনগর-শারজা বিমান পরিষেবার উদ্বোধন করেন। দীর্ঘ ১১ বছর পর সংযুক্ত আরব আমিশাহির সঙ্গে শ্রীনগরেরসরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হয়েছিল।
২০১৯-এ বালাকোটে সার্জিকাল স্ট্রাইকের পরেও ভারতকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেয়নি পাকিস্তান। যার ফলে আমেরিকা এবং ইউরোপে এয়ার ইন্ডিয়ার দূরপাল্লার বিমান পরিষেবা প্রভাবিত হয়। বিমানগুলিকে ঘুরপথে গুজরাত হয়ে পশ্চিমের দেশগুলিতে যেতে হয়েছিল ।ফলে জ্বালানি খরচ এবং বিমান ভাড়ার উপর বিপুল প্রভাব পড়েছিল।
২০১৯-এ মোদীর জার্মানি সফরের সময়ও পাকিস্তান জানিয়েছিল তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না ভারত। সে সময় পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, “কাশ্মীরের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” ওই একই বছের দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের আইসল্যান্ড সফরের সময়ও পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেয়নি।