পুবের কলম ডেস্ক : কেন্দ্র ও রাজ্য কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পরও দেখা গেছে দুই কোটিরও বেশি পরিবার চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এমএনআরইজিএসে কাজ করেছে। এ থেকে প্রমাণিত হয়, গ্রামীন কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পের চাহিদা এখনও কতটা রয়েছে। এই প্রকল্পের পোর্টালে দেওয়া তথ্য দেখাচ্ছে যে, সেপ্টেম্বরে ২.০৭ কোটি বাড়ি এই প্রকল্পের আওতায় কাজ করেছে। এই সংখ্যা ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ৩.৮৫ শতাংশ বেশি এবং ২০১৯ সালের তুলনায় ৭২.৩০ শতাংশ বেশি। বস্তুত, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এই প্রকল্পের অধীন কাজ করা মানুষের সংখ্যা দুই কোটির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। গত ১৮ মাসে মাত্র তিনবার এই সংখ্যাটা দুই কোটির নিচে নেমেছে–২০২০ সালের এপ্রিলে (১.১০ কোটি), ২০২০ সালের অক্টোবরে (১.৯৯ কোটি) ও ২০২০ সালের নভেম্বরে (১.৮৪ কোটি)। কোভিড পরিস্থিতির আগে মে ও জুন মাসে এমএনআরইজিএসে কাজ করা পরিবারের সংখ্যা দুই কোটির উপরে গিয়েছিল। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রথম অর্ধে এই প্রকল্পে মাসিক গড়ে কাজ করেছে ২.৩৬ কোটি পরিবার যা সমগ্র ২০২০-২১ অর্থবর্ষের চেয়ে বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এই সংখ্যাটা ছিল ১.৫৬ কোটি।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এই প্রকল্পের আওতায় সবচেয়ে বেশি এসেছে তামিলনাড়ু (৪৬.৫৪ লক্ষ)। তারপর পশ্চিমবঙ্গ (২৩.৪৭ লক্ষ), উত্তরপ্রদেশ (১৯.৫৭ লক্ষ), রাজস্থান (১৮.৭৩ লক্ষ) ও মধ্যপ্রদেশ (১৪.৫৬ লক্ষ)। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর ও চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে অরুণাচল প্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাত, মনিপুর ও জম্মু-কাশ্মীরে এই প্রকল্পে কাজ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০ শতাংশেরও বেশি। এদিকে, একদল সমাজকর্মী জানিয়েছেন যে, গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্প এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পে অর্থের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। অতিমারির ফলে কাজের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও। তাঁরা জানিয়েছেন যে, এই প্রকল্পের জন্য বাজেটে বরাদ্দ অর্থের প্রায় ৯০ শতাংশই পাঁচ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রী শনিবার জানিয়েছেন, এই প্রকল্পে অর্থ দিতে সরকার দায়বদ্ধ। পাশাপাশি বলা হয়েছে, যখনই অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হয় তখনই অর্থমন্ত্রককে তা দিতে অনুরোধ করা হয়। প্রসঙ্গত, অতিমারির জেরে বেকারত্ব যখন ক্রমবর্ধমান এবং গ্রামীণ অর্থনীতির বেহাল দশা তখন এই প্রকল্প লক্ষ লক্ষ গ্রামবাসীর জীবনরেখার মতো। পিপলস অ্যাকশন ফর এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি বা পিএইজি এক বিবৃতিতে শুক্রবার বলেছে যে, এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থ গত বছরের তুলনায় ২০২১-২২ সালে ৩৪ শতাংশ কম।