পুবের কলম ডেস্ক : কর্ণাটক পুলিশ আরবাজ মোল্লার হত্যার সাম্প্রদায়িক দিকটিকে ছোট করে দেখছে, এমনটাই দাবি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের৷ গত মাসে কর্ণাটকের বেলাগাভিতে হিন্দু সংগঠন রাম সেনার সদস্যরা আন্তঃধর্মীয় সম্পর্কের জেরে হত্যা করেছিল তাকে৷ একটি তথ্য অনুসন্ধানের প্রতিবেদনে সুশীল সমাজের কর্মীরা খুঁজে পেয়েছে এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২৮ সেপ্টেম্বর উগ্রবাদীরা এক হিন্দু মেয়ের সঙ্গে মোল্লার সম্পর্ক রয়েছে, এই অভিযোগে তাকে খুন করে৷ সূত্রের খবর, প্রশাসন ডিএনএ প্রমাণ সংগ্রহ করতে এবং ডানপন্থী সংগঠনের দুই পুরুষসহ ১০ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে হত্যার যোগসূত্র স্থাপন করতে খানাপুর কবরস্থানে তার কবর থেকে মোল্লার লাশ উত্তোলন করার পরিকল্পনা করছে।বেঙ্গালুরু এবং দাভানাগেরের লোকদের সাত সদস্যের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দল মৃতের পরিবারের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে এবং ঘটনার তদন্ত পরিচালনা করতে বেলাগাভিতে গিয়েছিলেন। এই দলে ছিলেন আকাশ ভট্টাচার্য (অল ইন্ডিয়া পিপলস ফোরাম), অবনী চোক্সি (অল ইন্ডিয়া ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর জাস্টিস), নিজামুদ্দিন (ফ্রাটারনিটি মুভমেন্ট), শাইক জাকির হুসেন (সাংবাদিক), সিদ্ধার্থ জোশী (স্বাধীন গবেষক), সৈয়দ জুনায়েদ (কর্মী, অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন) এবং তানভীর আহমেদ (মুভমেন্ট ফর জাস্টিস)।
বৃহস্পতিবার একটি অনলাইন প্রেস কনফারেন্সে দলটি বলেছে, পুলিশ এটিকে কন্ট্রাক্ট কিলিংয়ের মামলা হিসেবে পাশ কাটিয়ে দেবার চেষ্টা করছে। মিডিয়াও উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না৷ প্রেস মিট চলাকালীন সৈয়দ জুনায়েদ দলের সফরের প্রেক্ষাপট বিস্তারিত তুলে ধরেন৷ শাইখ জাকির হুসেন এই ঘটনার মূল পয়েন্টগুলি ব্যাখ্যা করেন— আরবাজের তার হিন্দু প্রতিবেশীর সঙ্গে আন্তঃধর্মীয় প্রেমের সম্পর্ক; উভয় পরিবারের আপত্তি; শ্রী রাম সেনার হুমকি এবং ২৮ সেপ্টেম্বর আরবাজের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে এর পরিসমাপ্তি ঘটে। জাকির আরও উল্লেখ করেছেন যে পুলিশ প্রথমে এটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল৷ কিন্তু আরবাজের হাত বাঁধা এবং ময়নাতদন্তের সময় আবিষ্কৃত আঘাতের চিহ্নগুলি তাদের তা করতে বাধা দেয়।