পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ উৎসবের মরশুমে (festive session) নিষিদ্ধ হল সব ধরনের বাজি।আজ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata Highcourt) তাদের রায়ে জানিয়েছে দীপাবলি, ছট পুজো, বড়দিন বা বর্ষবরণ কোন বাজি ফাটাবো যাবেনা রাজ্যে, এমনকি পরিবেশবান্ধব বাজিও নয়।
উল্লেখ্য এর আগে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানিয়েছিল দু ঘ্ন্টার জন্য ফাটানো যাবে পরিবেশ বান্ধব আতশবাজী। তবে কলকাতা হাইকোর্ট সমস্ত ধরনের বাজি ফাটানোর ওপর জারি করল নিষেধাজ্ঞা।
এদিন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতিরা বলেন, “করোনা প্রতিদিন বাড়ছে। যাঁদের করোনায় আক্রান্ত বা করোনাজয়ী বাজি ফাটলে তাঁদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। পুলিশের পক্ষে পরিবেশবান্ধব বাজি চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। তাই রাজ্যে সমস্ত রকমের বাজি নিষিদ্ধ। দীপাবলি, ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, বড়দিন এবং বর্ষবরণের রাতেও ফাটানো যাবে না বাজি (Cracker)। পরিবেশবান্ধব বাজিও ফাটানো যাবে না। বাজি বিক্রিও করা যাবে না। তার ফলে হয়তো ৩৩ লক্ষ বাজি বিক্রেতা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তবুও জীবনের থেকে ব্যবসায়িক স্বার্থ বড় হতে পারে না।
উল্লেখ্য ২০২০ সালেও একই ভাবে কলকাতা হাইকোর্ট সমস্ত ধরণের বাজি কেনা-বেচার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
উল্লেখ্য এর আগে রাজ্যে দীপাবলিতে শুধুমাত্র ফাটানো যাবে গ্রীন বাজি। তাও মাত্র দু ঘণ্টার জন্য। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। রাত আটটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ফাটানো যাবে শুধু মাত্র গ্রীন বাজি, শব্দ বাজি নিষিদ্ধ কঠোর ভাবে।
দিকে ছট পুজোর দিনও শুধুমাত্র দুই ঘণ্টার জন্য ফাটানো যাবে বাজি। সকাল ৬টা থেকে ৮টা থেকে এবং বড়দিন এবং নববর্ষের দিন ৩৫ মিনিট বাজি ফাটানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রাত ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মানে মোট ৩৫ মিনিট বাজি ফাটানো যাবে বড়দিন এবং নববর্ষের দিন। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।