পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ RBI -গভর্নর পদে মেয়াদ বাড়ল শক্তিকান্ত দাসের। আরও তিনবছর আরবিআই(RBI ) গভর্ণর হিসেবে থাকছেন তিনি। আরবিআই গভর্নর হিসেবে তাঁর পুনঃনিযুক্তি ১০ ডিসেম্বর থেকে বা পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটি শক্তিকান্ত দাসের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে। শুক্রবার ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের কার্যকালের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানোর ঘোষণা করে কেন্দ্র।
শক্তিকান্ত দাস এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক বিষয়ক বিভাগের সচিব ছিলেন। ২০১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর তিন বছরের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন।
একটি সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটি ১০ ডিসেম্বর, ২০২১ সালের পরে তিন বছরের জন্য বা পরবর্তী আদেশ কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত শক্তিকান্ত দাসকে আরবিআই গভর্নর হিসাবে পুনর্নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে’।
২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে উর্জিত প্যাটেলের ইস্তফার পর শক্তিকান্ত দাসকে আরবিআই গভর্নর পদে নিয়োগ করে কেন্দ্র। ১৫তম অর্থ কমিশনের সদস্য ছিলেন তিনি।
২০১৭ সালের মে মাসে তিনি আমলা পদে অবসর নেন। শক্তিকান্ত দাস গত ২০১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর তিন বছরের জন্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রধান হিসাবে নিযুক্ত হন। অর্থ মন্ত্রকে তাঁর দীর্ঘ মেয়াদে তিনি আটটির মতো কেন্দ্রীয় বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী যখন নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখনও শক্তিকান্ত সচিবের দায়িত্ব সামলাতেন। প্রধাননমন্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক বেশ ভালো বলে জানা যায়। নোটবন্দির সময়ে কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়ে সাফাই দিয়েছিলেন তিনি।
এর আগে রিজার্ভ ব্যাংকের যে দুজন গভর্নরের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাজ করেছেন, সেই রঘুরাম রাজন এবং উর্জিত প্যাটেল।
২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষের আগেই RBI গভর্নর পদ থেকে ইস্তফা দেন উর্জিত প্যাটেল।উর্জিতের আগে তাঁর পূর্বসূরি রঘুরাম রাজনও মেয়াদ শেষের আগে ইস্তফা দিয়েছিলেন। শোনা যায়, কেন্দ্রের সঙ্গে মতানৈক্যের কারণেই ইস্তফা।