পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ দরজার দোরগোড়ায় পৌঁছেও ছাড়পত্র পেল না কোভ্যাকসিন (Covaxin)। এই সম্পর্কে আরও তথ্য চাইল বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
বেশ কিছুদিন ধরেই কোভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে বিস্তর জল্পনা চলছিল। কোভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহার বৈঠক নিয়ে বৈঠকে বসেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ।
জরুরি ছাড়পত্রের আগে, সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ভ্যাকসিন সম্পর্কে নির্মাতা সংস্থা ভারত বায়োটেকের কাছে বেশ কিছু নতুন ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ। সেই ব্যাখ্যা পেলেই ছাড়পত্র পাবে কোভ্যাকসিন। অর্থাৎ চূড়ান্ত রিস্ক বেনিফিট অ্যাসেসমেন্ট করা হবে৷
উল্লেখ্য, এ বছর ১৯ এপ্রিল ভারত বায়োটেক কোভ্যাকসিনের অনুমোদন চেয়ে আবেদন জমা দিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, এই কোভ্যাকসিন ভারত বায়োটেক এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি এবং আইসিএমআর একসঙ্গে তৈরি করেছে। তাঁদের রিপোর্টে বলা হয়েছে কোভ্যাকসিন ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ৭৮ শতাংশ কার্যকর। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছিল ভারত সরকার।
করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট রুখতে কোভ্যাকসিন ৬৫ শতাংশ কার্যকর বলেও সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে৷ জুন মাসে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে এই দাবি করে নির্মাণকারী সংস্থা৷
এই মুহূর্তে ভারতে করোনার টিকাকরণের জন্য কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড-এর ব্যবহারই সব থেকে বেশি।