পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ লখিমপুর খেরি (Lakhimpur Kheri) কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের (supreme court) তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল যোগী সরকার। মামলা চলাকালীন শীর্ষ আদালত প্রশ্ন করে, লখিমপুর কাণ্ডে যেখানে আট জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে, সেখানে কি সাক্ষীদের সুরক্ষা দিচ্ছে উত্তরপ্রদেশ সরকার? সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপ্রদেশ সরকারকে জিজ্ঞাসা করে, একটা Rallyতে থেকে কিভাবে মাত্র ২৩ জন সাক্ষী থাকতে পারে?
লখিমপুর খেরি কাণ্ডে আগামী শুনানি ৮ নভেম্বর।
লখিমপুর খেরিকাণ্ডে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা (Chief Justice N V Ramana) দুই সরকারি বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভে ও গরিমা প্রসাদকে সাক্ষীদের বয়ান রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এদিকে উত্তরপ্রদেশ সরকার জানায়, এখনও কয়েকজন সাক্ষীদের বয়ান রের্কড করা বাকি। ৬৮ জন সাক্ষীদের মধ্য উত্তরপ্রদেশ সরকার মাত্র ২০ জন সাক্ষীর বয়ান আদালতে জমা দেয়।
এদিকে মামলা চলাকালীন সরকারি আইনজীবী হরিশ সালভে জানান, সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, এই কাণ্ড সম্পর্কে কোনও ব্যক্তির কিছু জানা থাকলে তাদের এসে জানাতে। তখন ২৩ জন এসে এই ঘটনার সম্পর্কে জানান।
এর পরেই বিচারপতি এন ভি রামানা আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘একটি Rally তে কিভাবে মাত্র ২৩ জন থাকতে পারে?
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে বলেন, রিপোর্টে জানা গেছে একটি জনসভায় যেখানে ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষের ভিড় হয়েছিল, সেখানে বেশিরভাগই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। তারা সকলেই মূল সাক্ষী। সেখানে লোকেদের শনাক্তকরণে কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়।
প্রসঙ্গত, আইনজীবী সালভে সুপ্রিম কোর্টের আবেদন রেখেছিলেন, লখিমপুর কাণ্ডে ইলেকট্রনিক সাক্ষ্যপ্রমাণ আদালতে পেশ করার জন্য দিপাবলী জন্য বিরতি দেওয়া হোক। কিন্তু আদালতের বেঞ্চ জানায়, ইলেকট্রনিক সাক্ষ্যপ্রমাণে যোগাড়ের প্রক্রিয়া জারি রাখার জন্য।
শীর্ষ আদালত, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারকে দুটি রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছে। তার মধ্যে একটি হল সাংবাদিকদের নিগ্রহের ঘটনা সম্পর্কিত।