পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ত্রিপুরায় কর্মসূচিতে তৃণমূলকে হেনস্থা ঘটনায় বিস্ফোরক তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব (susmita Deb) । মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, হেনস্থার দিন থানায় অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও এখনও কারুকে গ্রেফতার করা হয়নি। অথচ পুলিশকে অভিযুক্তদের নাম জানানো হয়েছে। ত্রিপুরার ডিজিপিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সুস্মিতা এদিন বলেন, বার বার হামলা চালানো হচ্ছে। ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই।
প্রসঙ্গত, ‘ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল’ এই কর্মসূচিতে ত্রিপুরায় জনসংযোগের লক্ষ্যে ময়দানে নেমে আক্রান্ত হয় তৃণমূল। আক্রান্ত হন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব। তার গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। তার মোবাইল, ব্যাগ কেড়ে নেওয়া হয়। আক্রান্ত হন অন্যান্য তৃণমূল কর্মী সহ আইপ্যাকের কর্মচারীরাও।
জানা যায়, সাংসদ সুস্মিতা দেব যখন ‘ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল’ এর জন্য একটি গাড়িতে প্রচার চালাচ্ছিলেন, তখন তাঁর গাড়ি লক্ষ করে আক্রমণ চালানো হয়। তৃণমূল কংগ্রেস জানায়, এই ঘটনায় সুস্মিতা দেব শারীরিক ভাবে আহত হয়েছেন। এরপর এর বিরুদ্ধে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার আমতালি বাজারের কাছে আমতালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুস্মিতা।
সেই সময় সুস্মিতা বলেন, এই ধরনের ঘটনা থেকেই প্রমাণিত ত্রিপুরায় আইনের শাসন বলে কিছু নেই। বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে সেখানে জঙ্গল রাজ চলছে। প্রশ্ন তোলেন, যদি বহিরাগত নেতাদের সঙ্গে এরকম হয় তাহলে ত্রিপুরার জনগণের নিরাপত্তা অবস্থা কী?
এই ঘটনার পর তৃণমূলের উপর সুপরিকল্পিত হামলা নিয়ে সরব হন তৃণমূল সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ট্যুইটে লেখেন, বিপ্লব দেবের গুন্ডারাজে রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর হামলায় রেকর্ড তৈরি হয়েছে। বিজেপি দুষ্কৃতীরা যেভাবে একজন মহিলা সাংসদকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেছেন তা রাজনৈতিক সন্ত্রাসবাদের নামান্তর। মানুষ সব দেখছে। ক্রমেই সময় নিকটে আসছে। মানুষ সব কিছুর জবাব দেবে।’