অর্পিতা লাহিড়ীঃ একরাশ লোমে ভরা, তুলোর বলটাকে হটাৎ দেখলে মনে হবে আরে ভারী সুন্দর তো এই সফট টয়টা। হটাৎ দেখলেন সে গুটিগুটি পায়ে পায়ে আপনার বন্ধু হতে এগিয়ে এসেছে। হ্যাঁ বলছি আ্যঙ্গোরা প্রজাতির খরগোশের কথা
অ্যাঙ্গোরা বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো গৃহপালিত প্রাণীদের একটি। এরা মূলত তুরস্কের অধিবাসী।আ্যঙ্গোরা পশম বা উল উৎপাদনের জন্যই কিন্তু এদের মূলত লালনপালন করা হয়। তবে গৃহপালিত পশু হিসেবেও এদের জুড়ি মেলা ভার।
অষ্টাদশ শতকের প্রথম দিকে কিছু ভ্রমণ পিপাসু নাবিক টার্কির অ্যাঙ্গোরায় নোঙর করেন। নাবিকরা স্থানীয় নারীদের তৈরি অ্যাঙ্গোরা উলের সুন্দর, রেশমী শালও পছন্দ করতেন। তাই অ্যাঙ্গোরা বন্দর ত্যাগ করার আগে নাবিকরা অ্যাঙ্গোরা কিছু খরগোশ নিয়ে যান ফ্রান্সে।
ফরাসিরা দাবি করেন, অ্যাঙ্গোরা খরগোশের অস্তিত্ব প্রথম রেকর্ড হয় ১৭৬৫ সালে ফরাসি এনসাইক্লোপিডিয়ায়। তবে এটা সত্যি যে, ফরাসিরাই প্রথম প্রাণীটিকে ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা শুরু করে। তারাই প্রথম এর লোম থেকে অ্যাঙ্গোরা উল ও সুতো তৈরি করে। তাদের এই বাণিজ্যিক সফলতার পর ফ্রান্সে অ্যাঙ্গোরা খরগোশ পালন জনপ্রিয় হয় এবং একই সঙ্গে সমগ্র ইউরোপজুড়ে এটি পোষা প্রাণী হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
রঙিন বড় লোমের জন্য স্টেইন আ্যঙ্গোরা এবং উজ্জ্বল লোমের জন্য জনপ্রিয় জার্মান আ্যঙ্গোরাঅ্যাঙ্গোরা খরগোশের পাঁচটি প্রজাতি আছে। ব্রিটিশ প্রজাতিটি মূলত এর সৌন্দর্য এবং তুলতুলে সাদা দেহের কারণে পোষা প্রাণী হিসেবে জনপ্রিয়