শুভজিৎ দেবনাথ, ডুয়ার্স: বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই পাচার করা হচ্ছিল বন্যপ্রাণী। আর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তার জন্য ওত পেতে বসেছিল বনদফতরের কর্মীরা। মিলল সাফল্য, অভিযান চালিয়ে বন্যপ্রাণী দুটি উদ্ধার সহ আটক করা হয়েছে তিন জন পাচারকারীকেও।
জানা গেছে, বনদফতরের আধিকারিকদের কাছে খবর ছিল ভুয়ো কাগজ বানিয়ে অরুনাচল প্রদেশ থেকে গুজরাটের উদ্দেশ্যে লড়িতে করে পাচার করা হচ্ছিল দুটি হাতি। আর যে কারণে রবিবার রাতে তিস্তা চেকপোস্টের কাছে টিম নিয়ে নাকা চেকিং শুরু করেন বনদফতরের কর্মীরা। ঠিক সেসময় দুটি লরিতে তল্লাশি চালালে উদ্ধার হয় দুটি হাতি।
যদিও তারা হাতি নিয়ে যাওয়ার সরকারী অনুমতি দেখাতে পারেন নি বনদফতরের আধিকারিকদের। কিন্তু তারা যেই কাগজগুলি দেখায় তাতে বৈধ অনুমতি না থাকায় পাচারকারী সন্দেহে তিন ব্যাক্তিকে আটক করে বনদফতরের কর্মীরা। সেইসাথে বাজেয়াপ্ত করা হয় দুটি লরির সাথে হাতি দুটিও। এরপর রাতেই তাদের গরুমারা জাতীয় উদ্যানের পিলখানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে বনবিভাগের জলপাইগুড়ি ডিভিশনের এডিএফও রাহুল মুখার্জী বলেন, সূত্র মারফত জানতে পারি দুটি হাতিকে অবৈধ ভাবে পাচার করা হচ্ছে। এরপর আমরা তিস্তা চেকপোস্টে নাকা চেকিং করি। সেখানে দুটি লরিকে আটকে তার থেকে দুটি হাতিকে উদ্ধার করা হয়। তারা যে কাগজপত্র দেখান তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। তাই আমরা এদের আটক করে নিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে হাতি দুটির মালিক তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন আমার কাছে বৈধ কাগজ আছে। আসামের বনদফতরও আটক করেছিল কিন্তু পরে কাগজ দেখে ছেড়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য যে এর আগেও একইভাবে বিভিন্ন কায়দায় বন্যপ্রাণী পাচারের চেষ্টা করা হয়েছিল। এমনকি এই তিস্তা চেকপোস্টে কয়েকবার হাতি উদ্ধার হয়েছিল।