পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : নির্বাচনের পরই জম্মু ও কাশ্মীর ফিরে পেতে পারে রাজ্যের মর্যাদা।উপত্যকা সফরের সময় সে আশ্বাস দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।শনিবার তিনি জানান, আসন পুনর্বিন্যাসের পর নির্বাচন হবে। আর সেই নির্বাচনের পরেই রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে জম্মু ও কাশ্মীর। তিন দিনের সফরে শনিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীর পৌঁছন অমিত শাহ। ২০১৯-এর অগস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর এই প্রথম জম্মু-কাশ্মীর সফরে গেলেন শাহ।
অমিত শাহ যে কথা বলেছেন, তাতে প্রথম জোর দেওয়া হইছে আসন পুনর্বিন্যাসে।আসন পুনর্বিন্যাস হলে তবে হবে ভোট। তার আগে কিচ্ছুটি হবে না ! বহু দিন ধরেই আরএসএস কাশ্মীরের জনবিন্যাস পরিবর্তন করার ইচ্ছা প্রকাশ করে আসছে। অনেকের আশংকা কাশ্মীরে এমনভাবে আসন পুনর্বিন্যাস করা হবে যাতে সেখানে আরএসএসের উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় । অৰ্থাৎ রাজ্য হিসাবে কাশ্মীর থাকবে। কিন্তু কাশ্মীরের জনগনের প্রতিনিধি যেন হন বিজেপির পছন্দসই লোকজন।
পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, শাহের এই বক্তব্যের ফলে কাশ্মীর কখন এ রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে, তা নিয়ে কিন্তু সংশয় থেকেই গেল। কারণ আসন পুনর্বিন্যাসের যে ফর্মুলা বিজেপি শাসিত কেন্দ্র পেশ করেছে, তার বিরুদ্ধে কাশ্মীরের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই আপত্তি জানিয়েছে। অন্য রাজ্যে আসন পুনর্বিন্যাস না করেও যদি ভোট হতে পারে, তবে কাশ্মীরে কেন নির্বাচনের জন্য আবাসন পুনর্বিণ্যাস নিয়ে জেদ করা হচ্ছে।
শ্রীনগরে জম্মু ও কাশ্মীরের ইয়ুথ ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় শাহ বলেন, ‘আসন পুনর্বিন্যাস কেন রোখা হবে? তাতে আমাদের রাজনীতির ক্ষতি হবে বলে? এখন আর কাশ্মীরে এরকম কোনও কাজ আটকে থাকবে না।কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায় যাতে সুযোগ পান, তাই আসন পুনর্বিন্যাসও হবে। আসন পুনর্বিন্যাসের পর ভোট হবে। তারপর রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আমি দেশের সংসদে এটা বলেছি। এটাই রোডম্যাপ। আমি তো কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করতে এসেছি।’
শাহ আরও বলেন, ‘আগে জম্মু ও কাশ্মীরের সাধারণ যুব প্রজন্ম ভাবতেও পারতেন না যে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারবেন। তা কয়েকটি পরিবারের মধ্যে সীমিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এটা সম্ভবপর করে তুলেছেন যে সাধারণ যুবক-যুবতীরা বিধায়ক, সাংসদ, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কথা ভাবতে পারেন। জম্মু ও কাশ্মীরের তৃণমূল স্তরে গণতন্ত্র এসেছে। আগে যা শুধুমাত্র কয়েকটি পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।’
মেহবুবা মুফতি বলেন, অমিত শাহ কাশ্মীরের মূল সমস্যা নিয়ে কোনও কথা বলেননি। শ্রীনগরে বিমানবন্দরে শিলান্যাস আসলে অলঙ্করিক পদক্ষেপ।সেখানে কাশ্মীরের মানুষের কথা নেই। ফারুক আব্দুল্লাহ বলেন, বিজেপি ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ভাগ করছে। ফারুক আব্দুল্লা আরও বলেন, যা পরিস্থিতি তাতে কাশ্মীরি পন্ডিতরা চাইলে ফিরেতেই পারেন। তাদের ফেরার মত সহায়ক পরিস্থিতি রয়েছে।