পুবেরকলম ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সভাপতি হলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো।কংগ্রেস থেকে সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েই সর্ব ভারতীয় দায়িত্বে এলেন ফালেইরো।
শুক্রবার ট্যুইট করে এই কথা জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিযুক্তিতে সিলমোহর দিয়েছেন।
উল্লেখ্য তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেন জোড়াফুলে।
সর্বভারতীয় স্তরে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই নিজেদের সংগঠণ আরও বিস্তৃত করতে চায় তৃণমূল। উত্তর-পূর্ব ভারতের পর গোয়াতে যে বাড়তে চলেছে সংগঠন তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই।
এর পেছনে কাজ করছে কিছু রাজনৈতিক রসায়ন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে একটু বিশ্লেষণ করলেই দেখা যাবে গোয়া কিন্তু মূলত খ্রীশ্চান অধ্যুষিত রাজ্য। হিন্দুত্বের যে মোটা দাগের রাজনীতি গেরুয়া শিবিরকে অক্সিজেন জোগায় তা গোয়াতে খুব একটা ভালো বিকোয়না,যদিও সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল কংগ্রেসকে হঠিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি । তার পরেও সেখানকার জনমনে বিদ্বেষ রাজনীতির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ আছে যাকে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। তাই সচেতন ভাবেই ডেরেক কে দিয়ে গোয়ায় ঘাসফুল ফোটানোর উদ্বেগটা শুরু করেছে দিদির দল।
উল্লেখ্য গোয়ার সাধারণ মানুষ এমনিতেই যথেষ্ট ক্ষুব্ধ বিজেপির ওপর। বন্ধ খনিজ উত্তোলন, ভেঙে পড়ার মুখে অর্থনীতী। এমতবস্থায় দাঁড়িয়ে কিন্তু গোয়ার মানুষের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যতম বিকল্প শক্তি।
উত্তরবঙ্গ সফর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি উড়ে যাবেন গোয়ার উদ্দ্যেশে। যা সর্বভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে নিসন্দেহে ইঙ্গিতবাহী। গোয়ার দু বারের মুখ্যমন্ত্রী এবং সাতবারের সাংসদ লুইজিনহো ফালেইরোর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়াটা সর্ব ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।তাই তৃণমূল সুপ্রিমো গোয়ায় পা রাখার পর কি অঙ্ক দাঁড়ায় এখন সেটাই দেখার।