পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ চুল প্রাণবন্ত আর সজীব রাখতে সঠিক উপায়ে শ্যাম্পু করা জরুরি। কারণ অনেক সময় সঠিক পদ্ধতিতে শ্যাম্পু না করার জন্য চুল চিটচিটে হয়ে যায়। আর থেকে জন্ম নেয় খুসকি থেকে নানা ধরনের স্কিন ডিজিজ।
শ্যাম্পুর করার কিছু প্রয়োজনীয় নিয়ম আমাদের জানা খুব জরুরিঃ
প্রথমেই চুলের ধরন অনুযায়ী বাছতে হবে শ্যাম্পু। আপনার চুল তেলতেল, সাধারণ, না শুষ্ক সেটা জানতে হবে। সেই অনুযায়ী শ্যাম্পু বাছতে হবে।
শ্যাম্পু করার আগে চুল আঁচড়ে নেওয়া ভালো। জট ছাড়িয়ে নিতে হবে। যে দিন শ্যাম্পু করবেন তার আগের দিন মাথায় তেল গরম করে মাথায় ভালো করে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন।
শ্যাম্পু করার নিয়ম-
শ্যাম্পুর সময় হালকা গরম জল দিয়ে মাথা ভালো করে ভিজিয়ে নিতে হবে। এবার হাতের তালুতে ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে সেটা পুরো চুলে লাগিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। তবে নখ দিয়ে আঁচড়াবেন না। এতে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যেতে পারে। কিছুক্ষণ এইভাবে ম্যাসাজ করার পর, ভালো করে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। পর পর তিনবার একই ভাবে শ্যাম্পু করে যেতে হবে। অনেকে মনে করেন, অনেকখানি শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুলেই বুঝি চুলের যত্ন করা হয়। তাতেই বুঝি চুল মসৃণ ও মোলায়েম হয়। ব্যাপারটা ঠিক তেমন নয়। এতে চুল পরিষ্কার হওয়ার বদলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সেইসঙ্গে এড়িয়ে চলতে হবে চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পুর ব্যবহার। প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করা উচিত নয়। এতে চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। এবং চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। কমপক্ষে একদিন পর পর শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। তবে চুলে অতিরিক্ত ধুলোবালি লেগে গেলে ‘ড্রাই শ্যাম্পু’ ব্যবহার করতে পারেন।
চুল কন্ডিশনিং
শ্যাম্পু করার পর চুলের রুক্ষতা দূর করার জন্য কন্ডিশনার ব্যবহার করা প্রয়োজন।
নির্জীব ও রুক্ষ চুলকে প্রাণবন্ত ও ঝলমলে করতে কন্ডিশনার অপরিহার্য। তাই শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার লাগানো অত্যন্ত জরুরি।
চুলে ভালো করে কন্ডিশনার লাগালে চুল রুক্ষ হয় না। এছাড়া কন্ডিশনার চুলে খাদ্য জোগায় এবং ডগা ভাঙার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়। তবে কখনই কন্ডিশনার মাথার তালুতে ব্যবহার করা যাবে না। মাথার তালুতে কন্ডিশনার লাগিয়ে ফেললে চুলের তৈলাক্ত ভাব বেড়ে যায়। আর চুল ঝড়ে পড়তে পারে।