পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ লখিমপুর কাণ্ডে জামিন খারিজ মন্ত্রী পুত্র সহ ৪ অভিযুক্তের। এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপে পড়ে জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। দীর্ঘ টালবাহার পর কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর পুত্র আশিস মিশ্র পুলিশের কাছে এসে হাজিরা দেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদের সময় জেরায় অসঙ্গতির অভিযোগ ওঠে। এরপর আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য, আদালতের কাছে আশিস মিশ্রের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। জামিনের আবেদনকারী অঙ্কিত দাস সহ তিন অভিযুক্তকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো আজ ১৭ অক্টোবর সেই হেফাজতের জামিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
এই ঘটনায় মন্ত্রী পুত্র ছাড়াও অঙ্কিত দাস, লতিফ ও শেখর ভারতী নামক তিন যুবকের নাম লখিমপুর হিংসার ঘটনায় জড়িয়েছে। চলতি সপ্তাহেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে অঙ্কিত। তবে শনিবার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলেও, তাদের সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।
এর আগে জামিনের আবেদনকারী অঙ্কিত দাস সহ তিন অভিযুক্তকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ১৭ অক্টোবর সেই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে বলেই তারা জামিনের আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রও এর আগে জামিনের আবেদন জানানা। কিন্তু ঘটনায় তাঁর যুক্ত থাকার অভিযোগ থাকায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তরফে সেই আবেদনও খারিজ করে দেওয়া হয়। এবারেও খারিজ হল জামিন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর লখিমপুর কাণ্ডে কৃষক আন্দোলন চলাকালীন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের পুত্র আশিস মিশ্রের কনভয় তার মধ্যে ঢুকে যায় বলে অভিযোগ। গাড়ির তলায় পিষ্ঠে নিহত হন ৮ জন। এর মধ্যে ৪ জন কৃষক। সাহারানপুরের ডিআইজি উপেন্দ্র আগরওয়াল জানান, তদন্তের সময় অসহযোগিতার জন্য প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩ অক্টোবর ঘটনার দিন আশিস মিশ্র কোথায় ছিলেন, সেই নিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি তিনি।
সূত্রের খবর, মন্ত্রীপুত্রকে ৬ জনের একটি দল জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সেই সময় আশিস মিশ্রকে ৪০টি প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু তদন্তে সহযোগিতা করেননি আশিস। জিজ্ঞাসাবাদের আগে আশিস মিশ্রকে ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ তলব করলেও নানা টালবাহানায় এড়িয়ে যান আশিস। এর পর তার বাড়ির দরজায় হাজিরার নোটিশ দেওয়া হয়। অনেক জল্পনা শেষে শেষ পর্যন্ত হাজিরা দেন আশিস।