উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,কুলতলি : সুন্দরবনের জঙ্গলে নাইলনের জাল ছিঁড়ে গেছে, ফলে গ্রামে বাঘ চলে আসার আশংকায় সুন্দরবনের মানুষ। কয়েক দিন আগে সুন্দরবন উপকূলবর্তী এলাকার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এর ফলে অনেক জায়গায় বাড়ি ভেঙেছে, জল ঢুকে প্লাবিত হয়ে গিয়েছে চাষের জমি। পাশাপাশি আরও একটি বিপদ দেখা দিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলি চারপাশে লাগানো নাইলনের জাল ছিঁড়ে গিয়েছে। ফলে গভীর জঙ্গল থেকে বাঘেদের গ্রামের ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় নাইলনের জাল ছিঁড়ে গিয়েছে। তাঁর ফলে অরক্ষিত অবস্থায় আছে সুন্দরবনের জঙ্গল এলাকা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বন বিভাগ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছে।
সুন্দরবনের রায়দীঘি,রামগঙ্গা ও মাতলা এই তিনটি রেঞ্জ মিলিয়ে জঙ্গল ঘিরে রাখা প্রায় ৩০ কিলোমিটার জাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলি মেরামত করা সম্ভব হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই সেখানে নতুন জাল লাগাতে হবে। এর জন্য ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগ এই খাতে বন দফতরের কাছে টাকা চেয়ে আবেদন করেছে বলে জানা গিয়েছে। মূলত এই জালগুলি দেওয়া হয় যাতে বাঘ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে নদী পেরিয়ে সরাসরি গ্রামে ঢুকতে না পারে।
এই জায়গা গুলিতে আবারও জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু অংশ এখনও খোলা অবস্থায় রয়েছে। ফলে যেকোনও সময় বাঘ বেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে তীব্র আতঙ্কে ভুগছে সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দারা। তাঁরা দ্রুত জাল লাগানোর আবেদন জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কুলতলির মৈপীঠ নগেনাবাদ, ভুবনেশ্বরী, দেউলবাড়ির ৩ নং নাইয়াপাড়া সহ জঙ্গল লাগোয়া এলাকার গ্রামবাসীরা জানালেন, দ্রুত এই নাইলনের জাল দিয়ে পুনরায় জঙ্গল না ঘিরলে যে কোন সময়ে বাঘ গ্রামে ঢুকে পড়তে পারে।
এই ভাবে এর আগে ও কাটা জাল দিয়ে গ্রামে বাঘ ঢুকে পড়ে গবাদি পশুকে তুলে নিয়ে গেছিলো। তাই আমরা খুব ভয়ে আছি।আমরা চাই দ্রুত এই জাল লাগানো হোক।
এব্যাপারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বনআধিকারিক (ডি এফ ও)মিলন মন্ডল বলেন, আমরা দেখছি বর্তমান অবস্থা।আমরা ইতিমধ্যে বন দফতরে জানিয়েছি।ওখান থেকে টাকা এলে আবার নাইলনের জাল দিয়ে জঙ্গল এলাকা ঘিরে দেওয়া হবে।