পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ'ভুলতে পারি সবার নাম ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম' স্লোগান দিয়েছিলেন স্বয়ং মমতা। একসময় তিনি বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নন্দীগ্রাম—এই নাম দুটি একে অন্যের সঙ্গে জড়িত। তাই এই নন্দীগ্রামের নাম হল মমতাময়ী নগর।
শুনতে অবাক লাগলেও এখন এটাই বাস্তব। কিন্তু এই নন্দীগ্রাম পূর্ব মেদিনীপুরের আন্দোলন থেকে উঠে আসা নাম নয়। এই নন্দীগ্রামের জেলা আলিপুরদুয়ার। তবে এই ঘটনার পিছনে একটা ইতিহাস আছে। যার জেরেই নন্দীগ্রাম হয়ে ওঠে মমতাময়ী নগর।
শামুকতলার পটোতলা এলাকার একটি অংশে দু’দশক আগে জনবসতি গড়ে ওঠে। শুরু থেকেই সেখানে জমিজট একটা বড় সমস্যা ছিল। তার ফলে জল ও বিদ্যুৎ থেকেও এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিলেন বলে দাবি। এর পরে যখন নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলন হয়, তার থেকে উৎসাহ পেয়েই নিজেদের এলাকাকে নন্দীগ্রাম বলতে শুরু করেন বাসিন্দারা। খাতায়কলমেও উঠে যায় সেই নাম।
দীর্ঘ আন্দোলনের পরে শেষে শনিবারই প্রথম বিদ্যুৎ পৌঁছয় এলাকায়। তার পরই নন্দীগ্রামের বাসিন্দারা নিজেদের জায়গার নাম রাখেন ‘মমতাময়ী নগর। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শিবানী দেবনাথ বলেন, “দীর্ঘদিন মামলা চলার পর এ দিনই প্রথম গ্রামটিতে বিদ্যুৎ পৌঁছায়। তার পরেই স্থানীয়রাই গ্রামের নাম মমতাময়ী নগর করতে চান।”একই যুক্তি তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামীরও।
এই বিষয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শিবানী দেবনাথ বলেন, “দীর্ঘদিন মামলা চলার পর আজ প্রথম গ্রামটিতে বিদ্যুৎ পৌঁছয়। স্থানীয়রাই গ্রামের নাম মমতাময়ী নগর রাখতে চান”।
কিন্তু নন্দীগ্রাম নাম থাকলে সমস্যা কোথায়? এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, “নন্দীগ্রামের সঙ্গে এমন একজনের নাম জড়িয়ে রয়েছে, যিনি দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। তাই ওই নাম থেকে মুক্তি চাইছি আমরা। আর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতৃত্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বলেই তাঁর নামে এই গ্রামের নাম রাখতে চাই আমরা”। এই কারণেই গ্রামের মানুষের দাবী মেনে নন্দীগ্রামের নতুন নাম হল ‘মমতাময়ী নগর।