পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: মুসলিম প্রতিনিধি শূন্য মোদির ৩.০ মন্ত্রিসভা। যা নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। বুধবার প্রতিথযশা অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ’কে এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, বিষয়টা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ার মতোই। তবে আমি অবাক হয়নি। মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা এঁদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে। মুসলিম ঘৃণা এঁদের কাছে ফ্যাশন। সবকিছুতে হিন্দু-মুসলিমের রাজনীতি না করে ভ্রাতৃত্বের বার্তা দিলে বিষয়টা ওনার জন্য কল্যাণকর হবে। না হয় আর সরকার গঠন করতে হবে না নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি। এদিন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির হামিদ আনসারির একটি ক্লিশে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মুসলিম নাগরিকদের মধ্যে এক ধরনের ভয় কাজ করে। আমাদের বুঝতে হবে যে, একা হিন্দু বা একা মুসলিম কিছুই করতে পারবে না। যা করার, আমাদের একসঙ্গে করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন শিক্ষার। দেশে শিক্ষার হার খুব শোচনীয়।
হিজাব প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, হিজাব, হিজাব, হিজাব। দেশজুড়ে এই বিতর্কই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তবে কে হিজাব পরবে, আর কে পরবে না, সানিয়া মির্জার স্কার্টের দৈর্ঘ্য কত? এই সব না দেখে ভারতীয় মুসলিমদের উচিত শিক্ষার দিকে নজর দেওয়া। বরাবরই নিজের কাট কাট মন্তব্যের জন্য বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন প্রতিথযশা অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ।
এদিন জাতীয় সংবাদমাধ্যমের দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহ আরও জানান, মোদির বিরোধিতা করতে গেলে শিক্ষিত হওয়া খুব জরুরি। মাদ্রাসার পাঠ ছেড়ে নবশিক্ষা ও নতুন ধ্যানধারণার বিষয়ে চিন্তা করুন।
শরিকদের মেহেরবানিতে তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছেন মোদি। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন। ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি একেবারে ফ্লপ হয়ে গেছে। এবার কি উনি নিজেকে পরিবর্তন করবেন? এই প্রশ্নের জবাবে নাসিরুদ্দিনের স্পষ্ট জানান, প্রধানমন্ত্রীকে যতটা ভালো ভেবেছিলেন, অতটা ভালো অভিনেতা নন। তাঁর হাসি এবং কুমিরের কান্না আমার মনে কোনওদিন জায়গা তৈরি করতে পারে নি। তবে ওনার মুসলিম বিদ্বেষ স্পষ্ট বোঝা যায়। ২০১১ সালের একটি অনুষ্ঠানে মসজিদের কিছু ইমাম ওনাকে স্কালক্যাপ উপহার দিয়েছিলেন। আর সেটা দেখে উনি হাসি মুখেই নাক সিঁটকিয়ে ছিলেন। পরে তিনি সেটা পরতে অস্বীকারও করেন। সেই স্মৃতি ভোলার নয়। মুসলিমদের প্রতি এঁদের বিদ্বেষ এবার শেষ হওয়া উচিত। বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রচারে গিয়ে বারবার মাথায় নানা ধরনের প্রাদেশিক মুকুট পরেন মোদি । কখনও শিলং -এ গিয়ে সেখানকার আঞ্চলিক মুকুট পরেছেন। কখনও আবার হিমাচলপ্রদেশের গিয়ে সেখানকার টুপি পরেছেন। । তাঁর মুসলিমদের প্রতি এত বিদ্বেষ কেন, তিনি যদি সেদিন সেই টুপি পরতেন, তা হলে মুসলিমদের কাছে এই বার্তা যেত যে তিনি সকলের সঙ্গেই আছেন। আমি একবার তাঁকে এই টুপি পরতে দেখতে চাই।