দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট: এক রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। মৃতার নাম সামিনা বিবি। বছর সাতাশের ওই মহিলার বাড়ি রামপুরহাট থানার সৈপুর গ্রামে। বুধবার সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে সামনে হাজির করার দাবিতে মৃতার পাড়ার জনা বিশেক লোক হাসপাতালের এম এস ভিপি পলাশ দাসের অফিস ঘেরাও করে এবং মৃতার দাফনের পর ফের আসার কথা জানিয়ে যায়।
বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়। এম এস ভিপি পলাশ দাস বলেন, রিপোর্ট সব কিছু ঠিক থাকা সত্ত্বেও রোগীর মৃত্যু খুবই দু:খজনক। তবে, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। রোগী রাত তিনটা একত্রিশে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসা হয়। পরদিন সকালে চিকিৎসা হয়। দুপুরে চিকিৎসা হয়। চিকিৎসকদের ভিজিটিং নোট আছে।
আরেকটি বিষয় খুবই খারাপ যে জুনিয়র চিকিৎসকদের চড় থাপ্পর মারা হয়। বুধবার বিকেলে জুনিয়র চিকিৎসকরাও একসাথে এমএসভিপি পলাশ দাসের সাথে দেখা করে তাঁদের ক্ষোভের কথা জানান। অন্যদিকে, মৃতার পরিবার পরিজনের তরফে কোনো লিখিত অভিযোগ জানানো হয় নি।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, বুকের ব্যাথা নিয়ে সোমবার রাত তিনটার পর রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হন ওই মহিলা। ভর্তি হওয়ার পর ওই মহিলার রক্ত পরীক্ষা সহ বুকের ইসিজি করা হয়। অভিযোগ, ভর্তি হওয়ার পর মহিলার যথাযথ চিকিৎসা হয় নি। প্রতিবেশী নিশার খান বলেন, কর্তব্যরত চিকিৎসক বাইরে চেম্বারে ব্যস্ত। নার্সদের মাধ্যমে চিকিৎসককে কল দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও কোনো ফল হয় নি। মঙ্গল রাত আটটা নাগাদ রোগীর মৃত্যু ঘটে। মৃত্যুর খবর পেয়ে রোগীর পরিবারের লোকজন চড়াও হয়। ঘটনাস্থলে বিশালসংখ্যক পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।