পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে অভিযান চালিয়ে ৫৭০ জনকে আটক করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। কাশ্মীরের ১৬টি জায়গায় অভিযান চালায় এনআইএ। সম্প্রতি হামলা মামলার জেরে অভিযুক্ত দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট( টিআরএফ) এর সদস্যদের বাড়িতে তল্লাশী চালানো হয়। এসময় আটক করা হয় তাদেরকে।
গত কয়েকদিনের ঘটনা থেকেই থেকেই স্পষ্ট হয়ে হয়েছে ফের কাশ্মীর অশান্ত হয়ে উঠেছে। অতর্কিতে উপত্যকার সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালাচ্ছে। তারেই মৃত্যু হচ্ছে কাশ্মীরের সাধারণ নাগরিকদের। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনায় এবার কড়া হয়েছে প্রশাসন। ‘অসামাজিক’ কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে ভারতীয় সেনা। কাশ্মীর উপত্যকায় এক সপ্তাহে সাতজনের হত্যার ঘটনায় ৭০ জন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৫৭০ জনকে আটক করেছে সেনা ও পুলিশ।
রবিবার এনআইএ অভিযান চালায় আরিপোরা জেওয়ানের বাসিন্দা নঈম আহমেদ ভাটের বাড়িতে। একটি রাস্তা নির্মাণ সংস্থায় গাড়ি চালকের চাকরি করেন নঈম। এনআইএ-এর দ্বিতীয় গন্তব্য ছিল, বাগি নন্দ সিংহ চট্টওয়ালের বাসিন্দা মুস্তাক আহমেদ দারের বাড়ি। সেখান থেকে মোট ৫টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা।
উপত্যকার সোলিনা পায়িনের বাসিন্দা সুহেল আহমেদ ভাটের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় এনআইএ। বাহাউদ্দিন সাহাব নওহাট্টা নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ। ক্রীড়া সরঞ্জাম বিক্রির সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তির বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চলে।
ইতিমধ্যে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, পরিস্থিতি যদি একই থাকে তাহলে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে লাভটা কি হল ? সেনার সম্পূর্ণ নজরদারিতে রয়েছে কাশ্মীর। তাহলে সেখানে জঙ্গিরা নাশকতার কাজে এমন করে সফল হচ্ছে কিভাবে ?