পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা সরবরাহের উন্নতি না হলে আগামী দুই দিনের মধ্যে অন্ধকারে ডুবে যেতে পারে রাজধানী দিল্লি। শনিবার এমনই সতর্কবার্তা দিলেন দিল্লির বিদ্যুৎমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে ন্যূনতম এক মাসের কয়লা মজুত থাকা উচিত। কিন্তু দিল্লির তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে কয়লার মজুত একেবারে তলানিতে পৌঁছেছে। এক দিনের মতো কয়লা মজুত রয়েছে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে। এর মধ্যে যদি কয়লা সরবরাহ করা না হয়, তা হলে ব্ল্যাকআউট পরিস্থিতি তৈরি হবে রাজধানীতে।’
রাজধানী যাতে ঘোর অন্ধকারে ডুবে না যায়, তাই দ্রুত কয়লা সরবরাহের আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। কোভিডের সময় অক্সিজেনের মতোই কয়লার সঙ্কট তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন সত্যেন্দ্র জৈন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়েছে। প্রথমে সংকট তৈরি করে, পরে সেই সমস্যার সমাধান করে প্রচার পাওয়ার একটা চেষ্টা চলছে।’
দিন কয়েক আগেই কয়লা সংকট নিয়ে কয়েকটি রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছিল। দেশে কয়লার ব্যাপক ঘাটতির কথা সেখানে স্পষ্টভাবে উচ্চারিত হয়েছিল। একথাও বলা হয়েছিল যে, কয়লার অভাবে বিদ্যুৎসংকটের মুখে পড়তে পারে দেশ। দেশে মোট ১৩৫টি কয়লা নির্ভর তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। দেশের ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ এই কেন্দ্রগুলিই করে থাকে। অর্ধেকেরও বেশি কেন্দ্রে তিন দিনের মতো কয়লা মজুত আছে বলে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই দিল্লি থেকে এমন দাবি উঠল।
কেজরিওয়ালের মন্ত্রী জানিয়েছেন, শহরের বাইরে বাওয়ানায় গ্যাস পরিচালিত ১৩০০ মেগাওয়াটের তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।এই কেন্দ্রগুলি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। কিন্তু এই কেন্দ্রগুলি তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন করে না। ফলে বিদ্যুতের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির উপর একান্তভাবে নির্ভর করতে হয়। তাঁর অভিযোগ, যদি কেন্দ্র এই বিষয়ে পদক্ষেপ না করে তা হলে আর দু’দিনের মধ্যেই অন্ধকার হয়ে যাবে গোটা দিল্লি।