পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: নিট-ইউজি পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য শাহীন পিইউ কলেজের। শিফা শামীম, খান সাফওয়ান, মুহাম্মদ আসিফ এবং মুহাম্মদ ইব্রাহিম আলতাফ, রুমাইসা আলী খান, মানিয়ার মুহাম্মদ বাশার, রোহিত, খান আবিবুল্লাহ মনসুর এছাড়াও আরও অনেক পড়ুয়া ৭২০ মধ্যে ৭০০-এর অধিক নম্বর পেয়ে পুরো দেশে প্রতিষ্ঠানটির নাম উজ্বল করেছে। জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটিতে তিন জন পরীক্ষার্থী ৭২০ মধ্যে ৭০৫ পেয়েছে। অন্যদিকে ৭০০ পেয়ছে ৮ জন, ৩৮ জনের মতো ৬৮০-ওপরে নম্বর পেয়েছে, ১৬১-জন পেয়েছে ৬৫০, ৪৩১ জন ৬০০, ৬৬৬ জন পড়ুয়া ৫৭৫-এর বেশি নম্বর পেয়েছে।
এই বিষয়ে শাহীন গ্রুপ অব ইনস্টিটিউশনের চেয়ারম্যান ড. আবদুল কাদির সফল সকল শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি জানান, আমরা আশা করি ৫৫০ শিক্ষার্থী সরকারি কলেজে সিট পাবে। গত দুই বছরে ৫০০-এরও বেশি পড়ুয়া সরকারি কলেজে নিজেদের সিট পাকা করেছে। এখনও পর্যন্ত অর্থাৎ গত ১৫ বছরে ৪০০০ অধিক শিক্ষার্থী সরকারি কলেজে আসন পেয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই রাজ্য তথা দেশের নামী ডাক্তার। অনেকে আবার দেশের বাইরে ভালো অবস্থানেও রয়েছে।
ড. আবদুল কাদির আরও বলেন, এই সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব ছাত্রছাত্রীদের নিজেদেরই। আমরা শুধু পথ দেখিয়েছি। বাকি আল্লাহ তায়ালা রাস্তা আসান করে দিয়েছেন। আগে, মেডিকেল শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের ধারওয়াড়, বেঙ্গালুরু এবং ম্যাঙ্গালোরের মতো জায়গায় যেতে হত। বিদার এখন সারা দেশে সম্ভাব্য মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য একটি হাবে পরিণত হয়েছে। যা জেলার শিক্ষাগত ল্যান্ডস্কেপে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। বর্তমানে দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্য এবং জেলা থেকে পড়ুয়ারা শাহীন কলেজে আসে। অসংখ্য প্রতিভাধর কিন্তু সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যক্রম থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে। এমন বহু প্রাক্তন আছে যারা স্বেচ্ছায় এখানে শিক্ষাদান করে।
প্রতি বছরই এই ধরনের সফলতার রেকর্ড রয়েছে শাহীনের। শাহীন একাডেমির বৈশিষ্ট হল কতজন সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারির সুযোগ পাচ্ছে সেটার হিসাব রাখা। মেধা তালিকায় কতজন বা প্রাইভেট কলেজে ভর্তি হতে পারলো কতজন আমরা সেই হিসাব রাখি না। যেমন এবছর ৫৫০ জনেরও বেশি শাহীনের পড়ুয়া সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারিতে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন বলেই আমার ধারণা। বাকি কাউন্সিলিং-এর পর জানা যাবে।