পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ ভোট গণনার আগের দিনই ইডির উপর হামলার ঘটনায় জামিন পেলেন শেখ শাহজাহান। তবে এখনই তাঁর জেলমুক্তি হবে না। বসিরহাট আদালত সূত্রে খবর, পুলিশের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত গত ৫ জানুয়ারি। ওইদিন সকালে শাহজাহানের বাড়িতে যান ইডি আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের দাবি, শাহজাহানের দুটি নম্বরে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। ওই নম্বর দুটি দীর্ঘক্ষণ ব্যস্ত ছিল। পরে একটি নম্বরে ফোন ধরেন শাহজাহান। ইডির কথা শুনে ফোন কেটে দেন। মুহূর্তের মধ্যেই কমপক্ষে ২-৩ হাজার লোক জড়ো হয়ে যান। আধিকারিকদের ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেই অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ইডির গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। তার পর থেকেই সন্দেশখালি ছাড়া হয়ে যান শাহজাহান। ইডির উপর হামলার এই ঘটনায় ন্যাজাট থানায় দু’টি এফআইআর হয়েছিল। একটি এফআইআর হয় ইডির অভিযোগের ভিত্তি। অন্যটি স্বতঃপ্রণোদিতভাবে রুজু করে পুলিশ। সেই মামলায় জামিনের আবেদন জানানো হয়েছিল বসিরহাট আদালতে। সোমবার সেই আর্জির শুনানিতে বিচারক ন্যাজাট থানার ওই স্বতোঃপ্রণোদিত মামলায় শাহজাহানের জামিন মঞ্জুর করেছে। একটি মামলায় জামিন মিললেও, জেলমুক্তি হচ্ছে না শাহজাহানের।শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা রয়েছে। তার মধ্যে একটি মামলায় সিবিআই ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দিতে না পারায় এই জামিন বলে জানিয়েছেন শাহজাহানের আইনজীবী।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালিতে অভিযান চালিয়েছিল ইডির তদন্তকারী দল। কিন্তু শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ঢোকার আগেই এক তুমুল জনরোষের মুখে পড়তে হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির অফিসাররা। মাথা ফেটেছিল। রক্ত ঝরেছিল। সেদিন অভিযান সম্পূর্ণ না করেই কোনওক্রমে পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন ইডির অফিসাররা। এদিকে ৫ জানুয়ারি ইডির উপর ওই হামলার ঘটনার পর থেকেই এলাকা থেকে বেপাত্তা ছিলেন শাহজাহান। দীর্ঘদিন বেপত্তা থাকার পর অবশেষে রাজ্য পুলিশের হাতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি।
এদিকে ৫ জানুয়ারি ওই হামলার ঘটনার পর ইডির তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে তদন্তকারী দলের উপর হামলার ঘটনায় শেখ শাহজাহান ও তার সাগরেদদের দিকেই আঙুল তুলেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এমনকী ইডির তরফে বিবৃতিতে এও দাবি করা হয়েছিল, যখন অফিসাররা বাইরে আক্রান্ত হচ্ছিলেন, তখন শাহজাহানের মোবাইলের লোকেশন দেখাচ্ছিল বাড়ির ভিতরেই।