পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup) খেলা শুরু আগেই ভারতীয় দলের কাকে প্লেয়িং ইলেভেন বেছে নেওয়া উচিত তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং বিশেষজ্ঞরা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (IPL) মতো ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়ম না থাকায় দলের ভারসাম্যের বিষয়ে ম্যানেজমেন্টকে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান তাই মনে করেন যে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং সূর্যকুমার যাদবের ত্রয়ী বোলিং না করায় প্লেয়িং ইলেভেনে আরও বোলিং বিকল্প থাকা উচিত। স্টার স্পোর্টসের একটি কথোপকথনে, পাঠান যশস্বী জয়সওয়ালের দলে অন্তর্ভুক্তিকে সমর্থন করেছিলেন। কেবল তাঁর ব্যাটিংয়ের জন্যই নয়, প্রয়োজনে তিনি এক বা দুই ওভার বোলিং করতে পারেন। ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইরফান পাঠান বলেন, “নির্বাচিত দলের সঙ্গে দুটি কম্বিনেশন থাকতে পারে। এক কম্বিনেশনে ব্যাটিং লাইনআপ আরও গভীর করতে অক্ষর প্যাটেল সহ ছয় বোলার নিয়ে খেলতে পারেন। অন্য কম্বিনেশনে চারজন ফ্রন্ট লাইন বোলার নিয়ে খেলতে পারেন এবং শিবম দুবে এবং হার্দিক পান্ডিয়ার বোলিং ভালো আশা করতে পারেন। টিম ইন্ডিয়ার জন্য আরেকটি বিকল্প হল একজন তরুণ খেলোয়াড়। যিনি নেটে বোলিং করেন তবে ম্যাচে বোলিং করেননি, তিনি হলেন যশস্বী জয়সওয়াল। শিবম দুবে আইপিএল চলাকালীন আরও উল্লেখ করেছেন যে তিনি নিয়মিত নেটে বোলিং করছেন, বিশ্বকাপে এক-দুই ওভার বোলিং করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।”
প্রাক্তন অলরাউন্ডারের আরও সংযোজন, “হার্দিক যদি আপনাকে তিন-চার ওভার বোলিং করার অপশন দিতে পারে, তাহলে এই সমস্যা অনেকাংশেই মিটে যাবে। রোহিত, বিরাট বা সূর্যকুমার যাদবের মতো আমাদের অন্য ব্যাটসম্যানরা বোলিং করতে পারে না, যা আমাদের কিছুটা সমস্যায় তৈরি করে। আদর্শগত ভাবে এই খেলোয়াড়দের মধ্যে কেউ যদি বোলিং করতে পারে তবে এটি দলের পক্ষে খুব ভালো হয়। আমরা অস্ট্রেলিয়ার কথা বলি, কিন্তু ইংল্যান্ডের শীর্ষ সাত খেলোয়াড়ের মধ্যে মঈন আলী, লিয়াম লিভিংস্টোন, উইল জ্যাকসসহ অনেক অলরাউন্ডার রয়েছে। আরও বেশি বোলিং বিকল্প থাকা সবসময়ই ভাল। আর এই দিক থেকে আমরা দুর্বল।”
ভারতের আরেক প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকর দলে অলরাউন্ডারের অভাব সম্পর্কে পাঠানের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেছিলেন, যে শিবম দুবে এবং হার্দিক পান্ডিয়া উভয়কেই দলে থাকতে হবে, পাশাপাশি বোলিংয়ের দায়িত্বও নিতে হবে। যদি ভারত ভারসাম্য বজায় রাখতে চায়। তিনি বলেছেন, “অলরাউন্ডারের অভাব টিম ইন্ডিয়ার কাছে কিছুটা দুর্বলতা। আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ার দিকে তাকান, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং ক্যামেরন গ্রিনের মতো তাদের ব্যাটসম্যানরা এক ম্যাচে চার ওভার বল করতে পারে। আমার মনে হয়, অলরাউন্ডারের অভাব থাকায় যে সীমাবদ্ধতা আসে, তা দূর করতেই ভারতীয় দল শিবম দুবেকে দলে নিয়েছে। এখন আইপিএলে ইমপ্যাক্ট সাবস্টিটিউট নিয়মের সাথে এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে। আমরা বর্তমানে বিশেষজ্ঞ বোলার এবং ব্যাটসম্যানদের উপর নির্ভর করি, তবে এই বিশ্বকাপে দলকে কিছু সামঞ্জস্য করতে হবে এবং কাউকে একটি ম্যাচে কমপক্ষে দুই থেকে তিন ওভার বোলিং করতে হবে।”