পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বন্যা, মৃত্যু মিছিল অব্যাহত রাজ্যে। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ওড়িশা সহ দেশের অন্যান্য অংশে তাপপ্রবাহ ও হিটস্ট্রোকে যেখানে মৃতের সংখ্যা ১৩০ পার করেছে, সেখানে বন্যায় বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্ব রাজ্য। অসমে ১১টি জেলায় প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষের জীবন বিপন্ন। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১২ জনের। পাশাপাশি অসম-মণিপুর মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫৩। দুই রাজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ লক্ষ মানুষ। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে গত ২৮ মে থেকে টানা বৃষ্টি চলছে অসমে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অসমের কাছাড় জেলা। অবিরাম বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট জলের তলায়, সড়ক, রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ৩০ হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
শনিবার সরকারি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে অবিরাম বৃষ্টি চলছে অসমে। সাধারণ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। কাছাড়ের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ, স্কুল-কলেজ সব বন্ধ রাখা হয়েছে। নির্ধারিত সেমিস্টার এবং কম্পার্টমেন্টাল পরীক্ষা পরিকল্পনা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। কাছাড়ের কার্বি, কার্বি আংলং, ধেমাজি, হোজাই, কাছাড়, করিমগঞ্জ, ডিব্রুগড়, নগাঁও, হাইলাকান্দি, গোলাঘাট, পশ্চিম কার্বি আংলং, দিমা হাসাও জেলা ক্ষতিগ্রস্ত। ৩০ হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরানো হলেও, এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। অবিরাম বৃষ্টিতে বরাক উপত্যকা এবং দিমা হাসাওতে রেল ও সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে। মেঘালয়ের জাতীয় মহাসড়কের অংশ ভেসে যাওয়ায় যানবাহন আটকে আছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল বা যাত্রাপথ সংক্ষিপ্তভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু তার নির্ধারিত সময়ের আগেই অসম এবং অন্যান্য উত্তর-পূর্ব রাজ্যে প্রবেশ করেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।