পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ ষষ্ঠ দফার ভোটের সকাল থেকেই উত্তপ্ত কেশপুর। অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি আটকে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। কেশপুরে হিরণের গাড়ি আটকে অশান্তি প্রসঙ্গে দেব বলেন, “কাল থেকে হিরণ কেশপুরের পিছনে পড়েছেন। ওখানে যদি সন্ত্রাস হয়ে থাকে উনি নিজের কথাবার্তার মাধ্যমে তা বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আমি শান্তিপূর্ণভাবে ঘুরছি। আমাকে ঘিরে তো বিজেপির লোকজন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন না। উনবি কেশপুরকে অতীতে অনেক বার আক্রমণ করেছেন। রাতেও ওখানেও ছিলেন। সকাল থেকেই উনি পুলিশকে চমকাচ্ছেন। আমার মনে হয় উনি ইচ্ছা করে সন্ত্রাস বাড়াচ্ছেন।উনি হেডলাইনে থাকতে চান। আমি দশ বছর ধরে কেশপুর আগলে রেখেছি। ওখানে কিছু হতে দিইনি। ভোটের দিন উনি চাইছিলেন এটা হোক। তবে লাভ হবে না।” উল্লেখ্য এ দিন সকাল থেকেই একাধিক বার বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন হিরণ। তার গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। চাকার সামনে রাস্তায় শুয়ে পড়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। মহিলারা হাতে লাঠি বাঁশ নিয়ে বেরিয়েছেন।
পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে বুধবার রাতে এলাকায় গোলমাল পাকানোর অভিযোগ রয়েছে। কেশপুরের বিশ্বনাথপুর গ্রামে গিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানাতে গিয়েই ‘ট্রোল’ হয়েছিলেন হিরণ। সেই ভিডিও ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। শনিবার ভোটের দিনও সেই কেশপুরেই প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়লেন তিনি।
এ দিন বিক্ষোভের মুখে মেজাজ হারিয়ে বিজেপি প্রার্থী একযোগে মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল সুপ্রিমো এবং প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থীর উদ্দেশে তোপ দেগে বললেন, ”কেশপুরকে মমতা পাকিস্তান করেছেন। আর সৌজন্যের প্রতীক দীপক অধিকারী লুঙ্গিবাহিনীর হাতে বাঁশ, লাঠি দিয়ে নামিয়েছেন আমাকে ঘেরাও করার জন্য। এই তো সৌজন্যের নজির! মুখে মিষ্টি কথা আর কাজে লুঙ্গিবাহিনীকে ব্যবহার।” এর পর আরও বিতর্কিত মন্তব্য করেন হিরণ। বলেন, ”লুঙ্গিবাহিনী তো গুটিয়ে লুঙ্গি পরে, ওদের লুঙ্গি খুলিয়ে সোজা করে পরাব।”