পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: এবারের নির্বাচনী প্রচারে শুরুর দিকে সব জায়গায় বিকাশ ও আমিত্বের ছোঁয়া ছিল প্রধানমমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়। কিন্তু যত সময় এগিয়েছে, বিকাশ ছেড়ে তিনি মন দিয়েছেন ধর্মীয় সুড়সুড়ি ও সাম্প্রদায়িক প্রচারে। বর্তমানে এই সুড়সুড়ির প্রধান হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে বোরকা পরিহিতা মহিলারা। অভিযোগ, বুথে বুথে বোরকা পরিহিতা মহিলাদের ভোট দানে বাধা দিচ্ছে বিজেপি। শুধু তাই নয়, হাতের সচিত্র পরিচয়পত্রের সঙ্গে মুখ মিলিয়ে দেখার জন্য রীতিমতো পর্দাশীল মেয়েদের বেপর্দা করছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের এহেন কর্মকাণ্ডের এবার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম) দলের প্রধান তথা হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
এদিন তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, , ‘বোরকা পরা মহিলা ভোটারদের বিশেষভাবে চেকিং করার আবেদন জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে পদ্ম-শিবির। লোকসভা ভোট চলাকালীন তেলঙ্গানায় ওদের প্রার্থী মুসলিম মহিলাদের হেনস্থা করেছিলেন। নির্বাচনে প্রতিটি দফায় বিজেপি ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে মুসলিম মহিলাদের টার্গেট করছে।’
তাঁর সংযোজন, ‘বোরকা, মাস্ক কিংবা হিজাব, পরণে যাই থাকুক না কেন, সচিত্র পরিচয়পত্র দেখে তবেই ভোটদান করতে দেওয়া হয়। এটাই নির্বাচন কমিশনের নিয়ম। তাহলে আলাদা করে বিজেপি-র পক্ষ থেকে এই আর্জি কেন জানানো হল? মুসলিম মহিলাদের হেনস্থা করা, তাদের ভোটদানে বাধা দেওয়া হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে।’
উল্লেখ্য, শনিবার ষষ্ঠ দফায় দিল্লির সাতটি লোকসভা আসনেই ভোটগ্রহণ। তার আগে দিল্লি বিজেপির তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে বোরকা পরিহিত মহিলাদের পরিচয় যথাযথ ভাবে যাচাই করে ভোটদানের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মে চতুর্থ দফায় ভোটপর্বের সময় হায়দরাবাদে ওয়েইসির প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী মাধবীলতার বিরুদ্ধে মহিলা ভোটারদের বোরকা সরিয়ে মুখ দেখার অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করেছিল পুলিশ। হায়দরাবাদের মিম প্রার্থী তথা দলের প্রধান এবং এই কেন্দ্রেরই বিদায়ী সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে রুখতে মাধবীলতাকে প্রার্থী করেছি বিজেপি। পদ্মশিবিরের আশা, মেরুকরণের ভোটে জয় না পেলেও ওয়েইসিকে যথেষ্ট বেগ দেবেন মাধবীলতা।