পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সমাজ আধুনিক হয়েছে বলে যতই চিৎকার করুক না কেন, এখনও অন্ধবিশ্বাসের অন্ধকারে এক শ্রেণির মানুষ। সেই নির্মমতা সাক্ষী থাকল একরত্তির জীবনের বিনিময়ে। অসুস্থ কাকিমা। নিজেকে সুস্থ করতে এক ভণ্ড তান্ত্রিকের পরামর্শে একরত্তিকে বলি দিলেন কাকিমা।এই খুনের ঘটনায় তান্ত্রিক ছাড়াও অন্যতম অভিযুক্ত মৃত বালকের কাকিমার প্রৌঢ়া মা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরে। ঘটনায় অভিযুক্তদের ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জারি তদন্ত। গত শুক্রবার ভোরে মুজাফফরনগর জেলার কাইলাওয়াদা কালান গ্রামে উদ্ধার হয় ৭ বছরের নাবালকের দেহ। নাম কেশব কুমার।
পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামতেই তান্ত্রিক যোগ সামনে আসে। গোটা ঘটনায় যুক্ত ছিলেন বালকের কাকিমা ২০ বছরের অঙ্কিতা এবং তাঁর মা ৫০ বছরের রিনা দেবী। জানা গিয়েছে, তুতো বোনের আত্মহত্যার পর থেকে বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন অঙ্কিতা। এতে অঙ্কিতার মা রিনা দেবীর ধারণা হয়, আত্মহত্যায় শরীর ছাড়া আত্মাই প্রবেশ করেছে মেয়ের শরীরে। তার জন্যই বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছে সে। এর পরই তিনি তান্ত্রিক রাম গোপালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
পুলিশ জানতে পেরেছে, এই রাম গোপাল নিদান দেয়, আত্মার অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে একটি বালককে বলি দিতে হবে। এর পর রিনার ষড়যন্ত্রে ৭ বছরের কেশব কুমারকে হত্যা করে তান্ত্রিক। তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করেছে অঙ্কিতা। সে জানায়, ১৮ মাস আগে তুতো বোন কোমলের আত্মহত্যা করেছিল। এর জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছিল সে। এর থেকে নিস্তার পেতে তান্ত্রিকের পরামর্শ ভাইপোকে হত্যা করা হয়েছে। নৃশংসতা সামনে আসতে প্রতিবেশীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।