পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: চিকিৎসা করাতে ভারতে এসেছিলেন বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। কিন্তু আর ফেরা হল না ঘরে। নিউটাউনের এক অভিজাত আবাসনে মিলেছে রক্তের দাগ। গত আটদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে। পরে তারা ভারতের সঙ্গে এই বিষয়ে নিয়ে কথোপকথন করেছে।
আনোয়ারুল আজিম বাংলাদেশের আওয়ামি লিগের তিনবারের সাংসদ ছিলেন। সাংসদের এই রহস্যমৃত্যু নিয়ে জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এই মৃত্যু পরিকল্পিত খুন, কি ঘটনা রয়েছে এর পিছনে তার জেরে জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু সাংসদের দেহ উদ্ধার হয়েছে কি না সেই প্রশ্নের এখনও সদুত্তর মেলেনি।
কলকাতা এবং স্থানীয় কমিশনারেটের পুলিশ নিউটাউনের একটি আবাসনে বুধবার সকাল থেকে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। সেখানে রক্তমাখা জামা কাপড় উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। একটি সূত্রের খবর, সাংসদকে হত্যার পর দেহ কেটে পাচার করা হচ্ছিল। নিউটাউনের আবাসনের ফ্ল্যাটেই হত্যা করা হয় তাঁকে। দেহ উদ্ধারের কথা বলেনি স্থানীয় পুলিশ।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান দাবি করেছেন, বাংলাদেশ পুলিশ জানতে পেরেছে সাংসদকে খুন করা হয়েছে। খুনের কারণ খুঁজে দেখা হচ্ছে। খুনের ঘটনায় বাংলাদেশিরাই জড়িত। দু’জনকে বাংলাদেশ পুলিশ আটক করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাংসদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১২ মে কলকাতায় আসেন আজিম। এখানে অফিসারের ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন তিনি।সঙ্গে ছিলেন আরও তিন জন। বরানগর এলাকার সিঁথিতে যে বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন আজিম, তাঁর নাম গোপাল বিশ্বাস। গত ১৩ মে তাঁর বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভাড়া করা গাড়িতে উঠেছিলেন আজিম। দুপুর ১ টা ৪১ মিনিটে বেরিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
কলকাতার স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাতে এসেছিলেন। কিন্তু ১৩ মে’র পরে ওই সাংসদের সঙ্গে আর যোগাযোগ হয় তার পরিবারের সদস্যদের। আজিমের কন্যা বাংলাদেশের থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরে তদন্ত শুরু হয়। সাংসদের মেয়ে কলকাতায় এসেছেন। গোপাল বিশ্বাস ১৮ মে বরানগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সেই সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তদন্ত করছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। সঙ্গে রয়েছে আইবি, এসটিএফ।
বাংলাদেশের আওয়ামী লিগের সাংসদ আনোয়ারুল আজম পশ্চিমবঙ্গের নিউটাউনে খুন হয়েছেন বলে ঢাকায় জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি জানান, খুনের ঘটনায় বাংলাদেশিরাই জড়িত। দু’জনকে বাংলাদেশ পুলিশ আটক করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।