১.মঙ্গলবার তাবরিজে প্রেসিডেন্ট রাইসির জানাযায় লাখো মানুষের ঢল নামে
২.বুধবার তেহরানে জানাযার নামাযের ইমামতি করবেন সর্বোচ্চ নেতা খামেনি।
৩.বৃহস্পতিবার জন্মভূমি মাশহাদে দাফন করা হবে রাইসিকে।
তাবরিজ, ২১ মে: প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা ইরান। তাঁর মৃত্যুতে ৫ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক চলছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাইসির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পথে নেমে আসছেন মানুষ। মঙ্গলবার প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের তাবরিজ শহর জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এই শহরেই প্রেসিডেন্ট রাইসির প্রথম জানাযার নামায হয়েছে। রাইসির মরদেহবাহী কফিনের সঙ্গে পদযাত্রা করছেন ইরানের বাসিন্দারা। এরপর সেখান থেকে রাইসির মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ইরানের পবিত্র নগরী কোমে। সেখানে রাইসির দ্বিতীয় নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এক সাক্ষাৎকারে ইরানি কর্মকর্তা মহসিন মানসুরি জানিয়েছেন, বর্তমানে রাইসির মরদেহ তাবরিজে রয়েছে। রাইসির সঙ্গে নিহত অন্যান্যদের জানাযাও সেখানে অনুষ্ঠিত হবে। কোমের পর বুধবার অর্থাৎ আজ ইরানের রাজধানী তেহরানে রাষ্ট্রীয় আয়োজনে রাইসিকে চির বিদায় জানাবে গোটা দেশ। বুধবার সকালে আরেকটি জানাযা অনুষ্ঠিত হবে ইউনিভার্সিটি অব তেহরানে। উচ্চপদস্থ বিদেশি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে একটি স্মরণসভারও আয়োজন করা হবে। মানসুরি আরও জানিয়েছেন, তেহরানে তৃতীয় জানাযা শেষে বৃহস্পতিবার সকালে রাইসির মৃতদেহ দক্ষিণ খোরসান প্রদেশের বিরজান্দে নিয়ে যাওয়া হবে। সর্বশেষ জন্মভূমি মাশহাদের ইমাম রেজার মাজারে দাফন করা হবে প্রেসিডেন্টকে। মাশহাদে জানাযার নামাযে ইমামতি করবেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। তাবরিজে প্রয়াত প্রেসিডেন্টের জানাযা অনুষ্ঠানে বত্তৃ«তাকালে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহদিদি বলেন, ‘আজ ইরান একজন জনপ্রিয় ও নম্র প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে শোকপালন করছে। ইরানি জনগণ বিদেশমন্ত্রীর মৃত্যুতেও শোকাহত।’ মঙ্গলবার ইরানের বেশ কয়েকটি শহরে জানাযার নামাযে আয়োজন করা হয়। এসময় প্রিয় নেতার সমর্থনে জাতীয় পতাকা হাতে দলে দলে মানুষ সমবেত হন পথে-ঘাটে। রাইসির অনুরাগীদের শোক প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। তাদের বেশিরভাগের পরনে ছিল কালো পোশাক। অনেকের হাতে ছিল রাইসির ছবি। রাইসির দাফনসংক্রান্ত সব কার্যক্রমই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পাদন করা হচ্ছে।