পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ নিজের দলের সহকর্মীদের বিরুদ্ধে সরব হলেন স্বাতী। তুললেন নির্ভয়া কাণ্ডের কথাও। পাশাপাশি বর্তমানে আবগারি দূর্নীতি মামলায় জেলবন্দি আপনেতা মনীশ সিসোদিয়ার প্রতি নিজের আস্থা প্রকাশ করেন রাজ্যসভার এই সদস্য।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের আপ্তসহায়ক বিভাব কুমারকে ফাঁসানোর জন্য বিজেপির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছেন স্বাতী মালিওয়াল। নির্বাচনী আবহে আম আদমি পার্টির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন স্বাতী। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েই এই ‘নাটক’ তৈরি করা হয়েছে। এমনই দাবি করেছে আপ। ইতিমধ্যে একটি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে আপ। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকার জন্য স্বাতী কী কী কথা বলেছিলেন, তা শোনা গিয়েছে। যদিও ভিডিওটির সত্যতা পুবের কলম যাচাই করেনি। শনিবার দিল্লি পুলিশ স্বাতীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছে বিভাব কুমারকে।
এরপর রবিবার স্বাতী মালিওয়াল বলেন, নির্ভয়া কাণ্ডের প্রতিবাদে তার যে সহকর্মীরা একদিন সরব হয়েছিলেন, আজ তারাই তার উপর নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্তের পক্ষ নিচ্ছে। দলের অনান্য সহকর্মীদের সমালোচনা করলেও দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ থাকলে তার পরিস্থিতি এতোটা খারাপ হত বলেও এ দিন উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর। দিল্লির রাস্তায় বাসের মধ্যে প্যারামেডিকেল পড়ুয়া তরুণীকে গণধর্ষণের পর নৃশংসভাবে অত্যাচার করে রাস্তায় ফেলে দিয়েছিল এক নাবালক সহ ৬ জন। যোনিপথ দিয়ে বের করে আনা হয়েছিল তরুণীর অন্ত্র। ঘটনার বীভৎসতায় শিউরে উঠেছিল সারা দেশ। বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে যমে মানুষে টানাটানির পর মৃত্যুর কাছে হার মেনেছিলেন নির্যাতিতা। নির্ভয়া কাণ্ডের পর প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল সারা দেশ। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদের মুখে ধর্ষণ আইনে বদল আনতে বাধ্য হয়েছিল সরকার।
সেই ঘটনার স্মরণ করিয়ে এ দিন স্বাতী বলেন, “আজ, ১২ বছর পরে, আমরা অভিযুক্তকে (বিভাব কুমার) বাঁচাতে রাস্তায় নেমে এসেছি, যিনি সিসিটিভি ফুটেজ উধাও করে দিয়েছেন এবং ফোনটি ফর্ম্যাট করেদিয়েছেন। আমি মনে করি মনীশ সিসোদিয়া থাকলে আমার জন্য পরিস্থিতি এতটা খারাপ হতো না!”