পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ স্ত্রীর মৃত্যুর পর শ্যালিকাকে বিয়ে করেছিলেন জামাইবাবু। নাবালিকা বিয়ের অভিযোগে বর কনেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে সেই থানার ভিতর থেকেই উদ্ধার হয় দম্পতির দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ক্ষুব্ধ জনতা ওই থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের আরারিয়া জেলার তারাবাড়ি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দিন দুয়েক আগে গ্রামের ১৪ বছরের এক কিশোরীকে বিয়ে করেন অভিযুক্ত যুবক। দেড় বছর আগে কিশোরীর দিদির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পর শ্যালিকাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন যুবক। শ্যালিকার বিয়ের বয়স না হওয়া সত্ত্বেও গ্রামের ছাঁদনাতলায় চার হাত এক হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা বর এবং কনেকে বিয়ের আসর থেকে থানায় নিয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন আত্মঘাতী হন নবদম্পতি
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিয়ের পর পরই ওই দম্পতিকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। থানার ভিতরে নব দম্পতিকে পিটিয়ে পুলিশ খুন করেছে বলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোঁড়ে। এখানেই না থেমে থানায় আগুন পর্যন্ত লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। জনতার বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ছয় রাউন্ড গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে হাতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন দুই বিক্ষোভকারী। ঘটনায় আহত হয়েছে নয় জন পুলিশকর্মীও।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দম্পতি থানার লক আপের ভিতরেই আত্মহত্যা করেছে। থানার ভিতরের সিসিটিভি ফুটেজ বলে দাবি করে একটি ভিডিও ক্লিপস সমাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ওই যুবক লক আপের দরজা বেয়ে উঠে একটি কাপড় গলায় জড়িয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন। যদিও সেটি সিসিটিভি ফুটেজ কিনা এবং সেই ভিডিও ক্লিপসে দেখা পাওয়া বিষয়বস্তু সত্য কি না তা যাচাই করে দেখেনি পুবের কলম।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ মারধর করার পর তাদের গাফিলতির সুযোগেই মৃত্যু হয়েছে ওই দম্পতির৷ যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি৷