পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্প বারবার বিরোধীদের কটাক্ষে বিদ্ধ হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের মহিলাদের বিপুল জনপ্রিয়তা উপলব্ধি করে ভোট আবহে সেই পুরানো কটাক্ষ ভুলে উল্টো সুর গাইছে সিপিএম বিজেপি। বিজেপি তো এই প্রকল্পে বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে নির্বাচনী সভা থেকে। অন্যদিকে সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘মেয়েদের অধিকার’ বলে দাবি করলেন।
শুক্রবার এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে সিপিএম নেত্রী বলেন, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার একটা প্রকল্প আছে। এটা আমাদের অধিকার। এটা আমরা মহিলা আন্দোলন থেকে দাবি করেছি।” তিনি একইসঙ্গে বলেন, বেশিরভাগ মহিলারা যে কাজ করেন, সেটা বেতনহীন কাজ। মহিলাদের নামে জমি, এমন ঘটনা খুব কম। যদি কোনওদিন কোনও মহিলার স্বামী তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন, তাহলে তিনি কোথায় যাবেন? তাঁর কিছুই নেই। তাঁর যে এতদিনের বেতনহীন কাজ, তার ক্ষতিপূরণ কী আছে! সেই জন্য মহিলাদের স্বীকৃতি দেওয়া হয় সরকারের তরফে।”
প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা সবীকার করলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সবীকৃতি দিতে নারাজ এই বৃন্দা। তিনি বলেন, “এই টাকা কোথা থেকে আসছে? করের টাকা। কোনও সরকারের বাপের টাকা নয়।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটের সঙ্গে এর কোনও যোগ আছে না কি! এটা করের টাকা। মহিলারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোটও দেবেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাও নেবেন।” পাশপাশি তিনি দাবি করেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্প যে অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও চালু রয়েছে।
কিন্তু দেশের মধ্যে সরকারি উদ্যোগে মহিলাদের স্বাবলম্বী করে তুলতে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করার হাত প্রথম বাড়িয়ে দিয়েছিল তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশে এই ধরনের প্রকল্পের পথিকৃৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম নেত্রী সেকথা অস্বীকার করে বুঝিয়ে দিলেন মুখে গরিবের কথা বললেও আসলে তারা জনবিচ্ছিন্ন একটি দলে পর্যবসিত হয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।