পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ হঠাৎ বন্যা ও কাদার প্রবাহে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে সপ্তাহান্তে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৪৩ জন ব্যক্তি, নিখোঁজ কমপক্ষে ১৫ জন। শনিবার সন্ধ্যায় মুষলধারে বৃষ্টির ফলে পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের তিনটি জেলায় আকস্মিক বন্যা, ভূমিধ্বস এবং শীতল লাভা প্রবাহ শুরু হয়। ঘটনার পর উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, শীতল লাভা প্রবাহ ইন্দোনেশিয়ায় ‘লাহার’ নামে পরিচিত। ২ হাজার ৮৯১ মিটার উঁচু মারাপি আগ্নেয়গিরি ইন্দোনেশিয়ার সক্রিয় আগ্নেয়গিরির একটি। গত বছরের ডিসেম্বরে মারাপি বিস্ফোরণে ২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এরপর থেকে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটেছে। ভারি বৃষ্টির ফলে মারাপি আগ্নেয়গিরির ছাই, পাথরের ধ্বংসাবশেষ এবং জলে কাদার মতো মিশ্রণ যা ঠান্ডা লাভা প্রবাহ নামে পরিচিত। উদ্ধারকারী দলের প্রধান আব্দুল মালিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “ঠান্ডা লাভা প্রবাহ এবং আকস্মিক বন্যা সাম্প্রতিককালে আমাদের জন্য সবসময়ই হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সমস্যা হল, এটি সবসময় গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত হয়।” পাশাপাশি মালিক সংবাদ সংস্থাকে বলেন, সোমবার নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধারকারী, পুলিশ এবং সামরিক বাহিনী-সহ প্রায় ৪০০ জন কর্মী কাজ করছে। অন্তত আটটি খননকারী যন্ত্র এবং ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রায় ২০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ধানের ক্ষেত-সহ ৭২ হেক্টর ( ১৭৮একর) জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগম জেলার অন্তত ১৫৯ জনকে কাছাকাছি স্কুলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিএনপিবি’র শেয়ার করা ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে রাস্তা ও ধানক্ষেত কাদায় ঢাকা। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি এবং ভবনের ধ্বংসাবশেষও দেখা যাচ্ছে। বন্যার কবল থেকে বেঁচে যাওয়া ৪৩ বছর বয়সী ইকো উইডোডো সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, “বন্যা আকস্মিক হয়েছিল এবং নদীটি অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে সর্বত্র জলের প্রবাহ শুরু হয়েছিল এবং এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিল।”