পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধির পর এবার খাড়গের হেলিকাপ্টারে তল্লাশির অভিযোগে শোরগল। শনিবার বিহারের মুজফফরপুর এবং সমস্তিপুরে একাধিক সভা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। দুই সভার মাঝেই এই তল্লাশি চালানো হয়েছে। যদিও এই অভিযানে তেমন কিছুই মেলেনি বলে খবর। খাড়গের কপ্টারে এই তল্লাশিকে কংগ্রেস ‘গণতন্ত্রের হত্যা’ বলে উল্লেখ করেছেন। তল্লাশির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল হয়েছে (যদিও এই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পুবের কলম)। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। কমিশনের নির্দেশেই তল্লাশি চালানো হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে সদর এসডিও দিলীপ কুমার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সব রিপোর্ট কমিশনে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা তল্লাশিতে আপত্তি জানিয়ে এই পদক্ষেপের বিরোধীতা করেন। নির্বাচনী সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে খাড়গে বলেন, এই নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধান বাঁচানোর নির্বাচন। কংগ্রেস দেশের সংবিধান ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিহার কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রাজেশ রাঠৌরের দাবি, সমস্তিপুরে খাড়গের হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালানোর জন্য হাজির ছিলেন খোদ বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। তাঁর প্রশ্ন, “শাসকদলের নেতারা ইচ্ছামতো বিনা বাধায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ বিরোধীদের প্রথম সারির নেতাদের কাপ্টারে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট করে বলতে হবে, এই ধরনের তল্লাশি শাসক শিবিরের নেতাদের উপরও চালানো হবে তো। কমিশনের উচিত কার কার চপারে তল্লাশি চালানো হয়েছে, সেটা প্রকাশ্যে আনা।”
এর আগে কেরল এবং তামিলনাড়ুতে রাহুল গান্ধির কপ্টারে তল্লাশি চালিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চপারেও তল্লাশি চালানো হয়। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে।