ইন্তেখাব আলমঃ দেশজুড়ে চলা ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোট পরিচালনার জন্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।দেশে তৃতীয় দফার ভোট প্রক্রিয়া সমাপ্ত হওয়ার পর জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। ওই বৈঠকেই বাংলার ভোট পরিস্থিতি নিয়ে সার্বিক প্রশংসা্র পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিফ আফতাবের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোট অনুষ্টিত হবে আগামী ১৩ মে। ওই দিন বোলপুর, বীরভূম, বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান দুর্গাপুর এবং আসানসোল মিলিয়ে মোট আটটি লোক সভা কেন্দ্রে ভোট হবে। চতুর্থ দফায় ভোট প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক ডক্টর আরিজ আফতাব শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোটে আটটি লোকসভা কেন্দ্রে মোট ১৫,৫০৭ টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে। তার মধ্যে ৩,৬৪৭ টি বুথকে স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।’ বহরমপুর লোকসভায় ১৮৭৯ টি বুথে, কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে ১৮৪১ টি বু এবং রানাঘাট কেন্দ্রে মোট ১৯৮৩ টি বুথে ভোট গ্রহন করা হবে।এছাড়াও বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের ১৯৭৯ টি বুথ এবং বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে ১৯৪৩ টি বুথে ভোট নেওয়া হবে।অন্যদিকে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে ১৯৪২ টি বুথে, বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে ২০৩৯ টি বুথে এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের ১৯০১ টি বুথে চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ করা হবে বলেও জানান রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক।
আগামী চতুর্থ দফায় রাজ্যের ৮ টি লোকসভা কেন্দ্রে পঁচাশি বছরের বেশি বয়স্ক ভোটার এবং শারীরিক দিক থেকে বিশেষ ভাবে সক্ষম ভোটারদের জন্য ‘হোম ভোটিং’ প্রক্রিয়া চালু রয়েছে।ফলে আগাম আবেদনের ভিত্তিতে বয়স্ক ভোটার এবং শারীরিক দিক থেকে বিশেষ ভাবে সক্ষম ভোটাররা ‘হোম ভোটিং’ পদ্ধতিতে বাড়িতে বসেই ভোট প্রদানের সুযোগ পেয়েছেন।গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্ত ওই আট লোকসভা কেন্দ্রের মোট ১৭,১৫৩ জন বয়স্ক ভোট দাতা এবং ৯,২৭৪ জন বিশেষ ভাবে সক্ষম ভোটদাতা মিলিয়ে মোট ২৬,৪২৭ জন বাড়িতে বসেই ভোট প্রদান করেছেন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরও জানান, চতুর্থ দফায় রাজ্যের ৮ লোকসভা কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রেখে ভোট পরিচালনার জন্য মোট ৫৭৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের ৩০,০০৯ জন সশস্ত্র পুলিশ ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন।
অন্যদিকে আগামী চতুর্থ দফার ভোটে রাজ্যের আইন-শৃক্ষলা রক্ষার জন্য বিশেষ তৎপরতা নেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্ত মোট ৪৪,৮৭৪ টি লাইসেন্স প্রাপ্ত অস্ত্র জমা পড়েছে। এছাড়াও আইন-শৃংখলা বজায় রাখতে আন্তঃরাজ্য সীমান্তে ৯৪ টি পয়েন্টে এবং রাজ্যের মধ্যে ৬৩১ টি স্থানে নাকা চেকিং চালানো হচ্ছে বলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।