পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : লিভ ইন সম্পর্ককে দাম্পত্যের অনুমতি দেয় না ভারতীয় আইন, জানিয়ে দিল দিল্লি হাই কোর্ট। এক খুনের আসামির প্যারোলে আদালতে মুক্তির আবেদনে এই রায় দেন দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি স্বরানা কান্ত শর্মা। বিচারপতি তার পর্যবেক্ষণে জানান, দাম্পত্য সম্পর্কে একজন জেলে থাকাকালীন একজন আসামী (স্বামী) যে যে সুবিধাগুলি তার পরিবার বা স্ত্রী’র জন্য পেতে পারে সেগুলি লিভ ইন সম্পর্কে পাওয়া সম্ভব নয়। লিভ ইন পার্টনারকে পরিবারের সদস্যের স্বীকৃতি দেওয়া হবে না।
বিচারপতি স্বরানা কান্ত শর্মা জানান, প্রথম স্ত্রী জীবিত রয়েছে, লিভ ইন পার্টনার জেলে রয়েছে, সেই অবস্থায় একজন লিভ ইন সঙ্গী তার ‘দাম্পত্য’কে টিকিয়ে রাখার জন্য সন্তানের দাবি করতে পারে না। কারণ দোষী ব্যক্তির ইতিমধ্যেই আইনত বিবাহিত স্ত্রী এবং সেই বিবাহ থেকে জন্ম নেওয়া সন্তান রয়েছে, সেখানে একটি সন্তান ধারণের জন্য বা লিভ-ইন পার্টনারের সঙ্গে দাম্পত্য বজায় রাখার জন্য প্যারোল মঞ্জুর করা সম্ভব নয়। বিচারপতি শর্মা বলেন, যদি এই ধরনের কারণে প্যারোল মঞ্জুর করা হয়, অনেক দোষী এই ভিত্তিতে প্যারোল চাইতে পারে। যা সমাজে বিরুদ্ধ বার্তা দেবে। ‘দিল্লি জেল বিধিমালা- ২০১৮’র এর অধীনে প্যারোল মঞ্জুর করার জন্য এই আবেদন প্রাসঙ্গিক নিয়মগুলির মধ্যে অনুমোদিত হতে পারে না।
বেঞ্চ প্যারোল চাওয়া একজন খুনের আসামী সোনু সোনকারের দায়ের করা আবেদনের পর্যবেক্ষণে এই রায় দেয়। আদালত জানায়, সোনকারকে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে প্যারোল মঞ্জুর করা হয়েছিল, যখন সে প্যারোলে ছিল তখন সে অন্য মহিলাকে বিয়ে করে নেয়। প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে পরবর্তী অন্য মহিলাকে বিয়ে করেছেন সেই ধরনের কোনও নথি আসামী আদালতে জমা দিতে পারেনি। আদালত আরও উল্লেখ করেছে যে সোনকারের ইতিমধ্যেই তার প্রথম স্ত্রী থেকে তিনটি সন্তান রয়েছে।